এম.এ আজিজ রাসেল:

গত বছরের তুলনায় কিছুটা বিলম্বে হলেও জমে উঠতে শুরু করেছে তরমুজের বাজার। দিনে দিনে আড়তগুলোতে তরমুজের আমদানি বাড়ছে। আর প্রথম দিকের বাজার হওয়ায় চাষিরাও বেশ ভালো মূল্য পাচ্ছেন। এদিকে সময় যতো যাবে রসালো তরমুজের আমদানি ততো বাড়তে থাকলে বাজার দর পরে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে চাষীদের। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এই মুহূর্তে লোকসানের শঙ্কার কথা মাথায় আনছেন না চাষিরা।

ব্যবসায়ীদের তথ্যানুযায়ী, জেলার চকরিয়া, টেকনাফ, সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, রামু ও পেকুয়া উপজেলায় ব্যাপক হারে তরমুজের চাষ হয়ে থাকে। যে তরমুজের কদর রয়েছে গোটা দেশজুড়ে।

শহরের বাজারঘাটার তরমুজ ব্যবসায়ী নজরুল, ফরিদ, মফিজ ও ছৈয়দ আকবর বলেন, গত সপ্তাহখানেক ধরে তরমুজ আসতে শুরু করেছে। দিনে দিনে এর পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে বাজারে বিট ফ্যামিলি, জাম্বু জাগুয়া, ড্রাগন নামক তরমুজ বেশি আসছে। যার আকার বা ওজন অনুযায়ী প্রতি শ’র দর ৮ থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সুমন নামের এক আড়তদার বলেন, বর্তমানে আমদানি কম হওয়ায় তরমুজের দর একটু বেশি। আমদানি বাড়লে এর দর কিছুটা কমে যাবে। তবে গরম বাড়লে চাহিদা বেড়ে গেলে এর বিপরীতও হতে পারে।

চকরিয়ার চাষি জাকির হোসেন বলেন, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবার তরমুজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। গত বছর অতিরিক্ত ও শীলা বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে চাষিদের লোকসান হয়েছিলো। এবার সে ধরনের কোনো বিপদ এখনো হয়নি।

উখিয়ার চাষী ইসমাঈল হোসেন জানান, গতবছরের মতো অতিবৃষ্টি না হলে এবারে যে ফলন হয়েছে তাতে ভালো লাভ করতে পারবেন। কিন্তু হালকা একটু বৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে তরমুজের আকার আর একটু ভালো হতো।