দেলোয়ার হোসেন
সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর উপর ব্রীজটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্রিজটি সংস্কার প্রশস্ত না হওয়ায় প্রতিদিন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীরা। ব্রীজের উপর একটিরও বেশি জীপ-কার যাতায়াত করতে পারেনা। সময় অসময়ে লেগে থাকে যানজট। ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনাও।
বিশেষ করে ওই ব্রীজে কোন বড় যানবাহন পারাপারের সময় অন্য পাশের যান চলাচল একেবারে বন্ধ রাখতে হয়। আর এ কারণে যান বাহনের লম্বা লাইন হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অনেকটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্রগ্রাম শহরের যানজটের মতো কাহিল অবস্থা।
বি.এন.পি সরকার ২০০০ সালে খুরুস্কুল-কক্সবাজার শহর সংযোগ সেতুবন্ধন সড়কটি নির্মান করে। তার মাঝে বৃহত্তর ঈদগাও ৫ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এই সড়কে যাতায়ত করায় ব্রীজটির গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। নির্মানের পর থেকে ব্রীজটি সংস্কারে তো কারো মাথা ব্যথা নেই। তার মাঝে বর্তমানে ব্রীজের ৭০ শতাংশ নাট-বল্টু মাদকসেবীরা খুলে নেয়ার কারনে ব্রীজটি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্রীজ টির পিলার স্হাপনকালীন বড় আকারে করা হলেও মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য তড়িঘড়ি করে উপরে অনেকটা কম প্রসস্ত। ঝুলন্ত ব্রীজ টাঙ্গানো হয়, যা কালের পরিক্রমায় ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, যেহেতু নিচের পিলার বড় আকারে স্হাপিত হয়েছে, সে হিসেবে উপরের স্টীলের ব্রীজটি আরো প্রশস্ত করার জন্য সংস্কারের দাবী অযৌক্তিক হবেনা।
খুরুস্কুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুবেদার মেজর (অবঃ) আব্দুল মাবুদ বলেন, খুরুশকুল ইউনিয়নের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে এই সড়ক ও ব্রীজ। তার মাঝে ঈদগাঁও এলাকায় দেশের একমাত্র লবন শিল্প এলাকা হওয়ায় এই ব্রীজটি আরো গুরুত্ববহন করে।
এছাড়া মনু পাড়ায় মেগা প্রকল্পসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছে। সে হিসেবে এই ব্রীজটি প্রশস্হ করা না হলে উপরোক্ত প্রকল্পের কাজে যাতায়াতে ও মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে যাবে বলেও তিনি জানান।