উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি পাহাড় কাটার ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। ছবিটি লিংকরোড এলাকার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউনুস ভুট্টোসহ আরো কয়েকজন এতে জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। আসলেই ছবিটি হলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ছবি। ইউনুস ভুট্টোর দাবী- আমি রামু উপজেলার ৮নং দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি। ঝিনের ঘোনা ইউনুস ভুট্টো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। চেইন্দা লারাপাড়া দারুল ইলুম হেফাজখানা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়া আমি বর্তমানে রামু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়ক দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের। এছাড়া আমি স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে এখনো জড়িত আছে। মূলকথা হচ্ছে- আমার এলাকা দক্ষিণ মিঠাছড়ি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত শিবিরের ঘাটি ছিল। ক্ষমতায় আসার পর আমিসহ আওয়ামীলীগের লোকজন মিলে তা প্রতিহত করি। আজ আমার এলাকায় জামায়াত শিবিরের অবস্থান নেই। কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে আমাদের বিরুদ্ধে লেগেই আছে। প্রতিনিয়ত কিছু সুবিধাবাদীদের সহায়তায় সুযোগ নিচ্ছে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে আমি ইউনুস ভুট্টোসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এরঅংশ হিসেবে গত ২৩ মার্চ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী তার ফেসবুক আইডি থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি পাহাড় কাটার ছবি পোষ্ট করে স্ট্যাটাস দেন- “সমুদ্র জনপদ কক্সবাজারের লিংকরোড এলাকার করুন দৃশ্য। জড়িত আছেন উচ্চক্ষমতাধরের সাথে জনৈক ইউনুস ভুট্টো, কুদরতউল্লাহ, এফাজউল্লাহ, আজিজুল হক বাহিনী। আওয়ামীলীগ এর মতো আদর্শিক সংগঠনের নাম অপব্যবহারে কেড়ে নিচ্ছে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও মানুষ এর সম্পত্তি। এই আওয়ামীলীগ গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগঠন।” ইউনুস ভুট্টোর দাবী- আমিসহ যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে সরাসরি। অথচ আওয়ামীলীগ নেত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি পাহাড়ের ছবি দিয়ে আমার এলাকার পাহাড় বলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যচার করে যাচ্ছে প্রকাশ্যে। যা খুবই দু:খজনক। এমনকি এই নেত্রীর ফেসবুকের দেয়া ছবি ও স্ট্যাটাসটি স্থানীয় দৈনিক একটি প্রত্রিকায় আমরা কয়েকজন ছড়িত বলে চাপিয়ে দেন। যা একটি হাস্যকর মাত্র। তবে বিনা কারণে বিনা দোষে আমাদের সম্মান দিয়ে খেলা করছে কেন তা বুঝতে পারছিনা। যা নোংরা খেলার মতো। আমরা এখনো বুঝতে পারছিনা; কেন একজন শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেত্রী আমাদের মতো ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি আমরা জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবং প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমিসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও নিরহ লোকজনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও সম্মানহানীকর ফেসবুকে মন্তব্য করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন- রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি নুরুল ইসলাম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলমসহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
প্রতিবাদকারী
ইউনুস ভুট্টো
রামু উপজেলা ৮নং দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।