বার্তা পরিবেশক:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে বেড়ে উঠা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক সময়ের তুখোড় মেধাবী ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান গণি মহেশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক গণ সংযোগ করেছেন। গত ২০ মার্চ মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত একটানা ৪ দিন অবহেলিত উপ- দ্বীপ টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ী ও ধলঘাটার বিভিন্ন পয়েন্টে গণসংযোগ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। শিকড়ের টানে বরাবরাই এ উপ-দ্বীপে ছুটে চলা মনে করিয়ে দেয় এলাকাবাসীকে জন্মভূমির প্রতি দ্বায়বদ্ধতা। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে মাতারবাড়ীর প্রবেশ পথে রাজঘাটে প্রবেশ করতেই এলাকায় বয়ে যায় আনন্দের ফল্গুধারা, উচ্ছসিত জনতাকে সাথে নিয়ে প্রদক্ষিণ করেন মাতারবাড়ীর বিভিন্ন পয়েন্ট।দিন শেষে প্রবেশ করেন জন্মভূমি ধলঘাটা ইউনিয়নে।নিজ বাড়ীতে রাত্রি যাপন শেষে বুধবার পুরোদমে নেমে পড়েন ধলঘাটাবাসীর সুখ-দূ:খ শেয়ারের কাজে।বুধবার সকালে মতবিনিময় করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ,সহযোগী সংগঠনের নেতবৃন্দ ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে। বিকেলে পরিদর্শন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে সুতরিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে গণসংযোগ শেষে সুতরিয়াস্থ আসমা বিনতে আবুবকর (রা:) বালিকা মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সেখান থেকে ফিরে দুপুরের দিকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মুহুরীঘোনা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রসা কতৃর্ক আয়োজিত বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা ধলঘাটার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে মাদ্রাসা মাঠে এক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। উক্ত সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন স্বাবভৌম দেশ প্রতিষ্ঠা, পরবর্তী স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।
ধারাবাহিক বক্তৃতায় তিনি আর ও বলেন বঙ্গবন্ধুকে কিছু দেশীয় কুলাঙ্গার ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বলি হতে হয়েছিল ৭৫ এর ১৫ অগাস্ট। এর পরের ইতিহাস কেবল পিছিয়ে পড়ার ইতিহাস, লুটপাট, দূর্নীতির মহোৎসবের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৩৪ বছর পর তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় শাসনভার নেওয়ার পর থেকে দেশ ধীরে ধীরে ধাবিত হয় উন্নয়নের পথে। বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পায়।
উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আর ও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের ও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাবেশ পরবর্তী তিনি মাদ্রাসার অফিস রুমে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন এবং মাদ্রাসার সার্বিক অগ্রগতি তদারকি করেন। সেখান থেকে ফিরে বিকালে নাছির মোহাম্মদ ডেইল ও খোন্দকার পাড়ায় গণসংযোগ করেন।
শুক্রবার সকালে উত্তর মুহুরীঘোনা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লীদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন ও প্রকল্পে নিয়োজিত স্থানীয় শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তৎপরবর্তীতে কর্মরত বিদেশী কর্মকর্তা, নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সাথে কাজের অগ্রগতির খোজ-খবর নেন।
কর্মরত কর্তাব্যক্তিদের সাথে উন্নয়নের টার্নিং পয়েন্ট গভীর সমুদ্র বন্দরের অগ্রগতির ও খোজ খবর নেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবকিছু বিনাশর্তে দিয়ে দিচ্ছে সেহেতু স্থানীয়দের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পূর্নবাসন ও চাকুরীর কোটা প্রণয়ন করার জোর দাবী জানান। ৪ দিনব্যাপী গণসংযোগ ও সামাজিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে বারবার অবহেলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের খোজ নিতে ছুটে আসায় এলাকাবাসী বেশ উৎফুল্ল। তারা স্বপ্নে বিভোর আগামীতে তাদের প্রিয় নেতার হাত ধরে এগিয়ে যাবে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা।