মোহাম্মদ শফিক :

কক্সবাজার শহরের ৬নং ঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদী দখলের মহোৎসবে নেমেছে কয়েকটি ভূমিগ্রাসী চক্র। যদিওবা বাঁকখালী নদীর পরিবেশ দূষণ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে ৮৩৩৫ রিট পিটিশনে হাইকোর্ট এর একটি নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু কিছুতেই তা মানছে না প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। তারা প্রতিদিন বাঁকখালী নদীর তীর ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা ও দখল অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাঁধ দিয়ে বাঁকখালী নদীর তীর দখল করে আসছিল ওসমান গণি টুলু ও তার সিন্ডিকেটের লোকজন। (২২ মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারি কমিশনার ভূমি (ম্যাজিস্ট্রেট) নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাঁধ দিয়ে বাঁকখালী দখলের অভিযোগে ওসমান গণি টুলুকে আটক করে। পরে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় এবং বাঁধ অপসারনের জন্য ১দিনের সময় দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সাইফুল আশ্রাব, আনসারদের একটি টিম ও সাংবাদিকগণ।

সহকারি কমিশনার ভূমি নাজিম উদ্দিন বলেন, “ মহামান্য হাইকোর্টের অর্ডার আছে বাঁকখালী নদীর তীর দখল করে কোন ধরনের স্থাপনা করা যাবে না। কিন্তু প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিছু ভূমিগ্রাসী চক্র দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রখেছে। এখন থেকে সেখানে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে”।