মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ:

টেকনাফ সদরের বটতলী বাজার জনগুরুত্ব পূর্ণ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও খানাখন্দকের ফলে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।

এই বেহাল দশা উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারনের দূর্ভোগ নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে এঅবস্থাই চলছে। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রোগী, পথচারীসহ মহেশখালিয়াপাড়া, তুলাতলী,নতুন পল্লান পাড়া ,গোদারবিল এবং দক্ষিন লেংগুরবিলের একাংশ ও পরিষদে সেবা প্রার্থীরা এই সড়কদিয়ে চলাচল করে থাকে।

যাতায়াত কারী জনসাধারনের এমন জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের দৃশ্যমান ও টেকসই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

ফলে ক্ষোভে শিক্ষার্থী, গাড়ি চালক ও স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের এই হালচিত্রের বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও প্রকাশ করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় টেকনাফ পৌরসভার শেষ সীমানা পুরাতন পল্লান পাড়ার তিন রাস্তার মাথা ( তিন মোয়া ) হতে সদর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ও বটতলী বাজারের সড়কটি ভেঙ্গে খানাখন্দে ভরপুর হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে স্থানীয় এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কারের দাবী উঠালে ও কোন সুফল দেখেনি। সড়কের ভেঙ্গে পড়া স্থানে সংস্কার না হওয়ায় ওই সড়কটি অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোন সময়ে বড়ধরনের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে। সড়কটির অধিকাংশ অংশে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া সরে গিয়ে বড় গর্ত ও অনেক স্থানে মৃত্যু ফাঁদ পরিনত হয়েছে। দেখে মনে হয় যেন উন্নয়ন সংস্কারের জন্য কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন টমটম, অটোরিকসা, সিএনজিসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে গিয়ে গাড়ী উল্টে প্রতিদিনই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

এদিকে সুস্ক মৌসুমে সড়কটির উন্নয়ন সংস্কার না হলে বর্ষার মৌসুমে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

বটতলী বাজার টমটম শ্রমিক সংগঠন’র সভাপতি ইমান হোছন জানান দীর্ঘদিন তিনি দেশের ভিবিন্ন সড়কে ড়্রাইভিং করেছে। কিন্তু বটতলী বাজার সড়কের যে বেহাল দশা দেখেই মনে হচ্ছে এর কোন অভিবাক নেই। নেই কোন দায়বদ্ধতা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন রাস্তার এই দশা দেখে মনে হয় যেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নেই। রহস্যজনক কারনে সড়কটির কোন প্রকার সংস্কারের উদ্যোগ নেই বলে মনে করি।

এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী জানান দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় গর্ত হয়ে একাধিক খাদ তৈরী হয়েছে। এইসব রাস্তা দিয়ে চলাচল অনেক কষ্ট । যানবাহন নিয়ে চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এভাবে অত্যধিক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন দূর্ঘটনার আশংকা ও মনে ভীতি নিয়ে চলাচল করি।

বটতলী বাজারের ব্যবসায়ী সোনালী জানান টেকনাফ বাস ষ্টেশন হতে বটতলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃ মিঃ সড়কটির অনেকাংশ দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় জনসাধারনের চলাচল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

উল্লেখ থাকে যে এসড়কটি টেকনাফ সদরের একটি জনগুরুত্ব পূর্ন এবং টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের সাথে সংযুক্ত।এসড়কটি বেহাল অবস্থার কারনে স্থানীয় জনগণ ছাড়া ও দেশীবিদেশী পর্যটক যাতায়াতে বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে। তাই সড়কটি উন্নয়ন হলে স্থানীয় জনগণ ছাড়া ও দেশীবিদেশী পর্যটক অবাধে যাতায়াত, জনসাধরনের মৎস, পানসুপারী ও তরীতরকারী সহজেই বাজারজাত করতে পারবে। সচেতন মহল ওসুশীল সমাজের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছে যে এই জনগুরুত্ব পূনূ ও পর্যটক মুখী সড়কটি উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের সহায়ক ভুমিকা পালন করবে এবং জনদূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাবে। অপর দিকে সরকার উৎপাদিত পণ্য থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব পাবে ।