এ এম ওমর আলী ,চকরিয়া :

জমি বিক্রির নামে প্রতারণা ও দলিল জালিয়তির মাধ্যমে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা লুটের অভিযোগে চকরিয়া সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক ফরিদ প্রকাশ ফরিদ মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। দুই ভুক্তভোগি ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ের সামনে দলিল লেখার অফিস হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিএমচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত হাফেজ শাহ আলমের পুত্র ভুক্তভোগি আবদুর রহমান জানান, দীর্গ ১৮ বছর আগে তার পিতা মরহুম হাফেজ শাহ আলমকে চকরিয়া পৌরশহরের জনতা মার্কেট এলাকায় ৩০ কড়া জমি বিক্রি করেন চকরিয়া সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক প্রকাশ ফরিদ মুন্সি। ওই জমি রেজিষ্ট্রি দেওয়ার পর ফরিদ মুন্সি মাত্র ১৮ কড়া জমি দখল দিয়ে আরও ১৩ কড়া জমির দখল না দিয়ে প্রতারণা করতে থাকে। এ ভাবে দীর্ঘ ১৮ বছর পার হলেও ওই জমির পরিপূর্ণ দখল অর্পণ করেনি।

ভুক্তভোগি আবদুর রহমান আরও জানান, ১৮ বছর পূর্বে জমির যে মূল্য ছিল তার চেয়ে বর্তমানে অনেক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিত ওই জমির দখল দিতে নারাজ ফরিদ মুন্সি। ফলে নিরুপায় হয়ে ইতিমধ্যে চকরিয়া থানার আশ্রয় গ্রহন করেন তিনি (আবদুর রহমান)। কিন্তু চকরিয়া থানার অফিসার ইনচাজর্কেও কালক্ষেপন করতে থাকেন ফরিদ মুন্সি।

অন্যদিকে ওই দলিল লেখক প্রকাশ ফরিদ মুন্সির বিরুদ্ধে একই অপরাধের দায়ে থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়া বাজারের বাসিন্দা প্রবাসী হাফেজ মো: জহির। জহিরের লোকজন জানান, তিনবছর আগে চকরিয়া পৌরশহরের জনতা মার্কেট এলাকা থেকে প্রবাসী হাফেজ মো: জহির ২২কড়া জমি ক্রয় করেন ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে। অভিযোগ করে বলেন, ওই জমির মূল্য ৫২লাখ টাকা হলেও দলিল লেখক ফরিদ প্রকাশ ফরিদ মুন্সি রেজিষ্ট্রি খরচ কমানোর কথা বলে দলিলে কৌশলে উল্লেখ করেন ৩০ লাখ টাকা। রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার পর জমির দখল দেননি ফরিদ মুন্সি। আজ দেবে, কাল দেবে বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন তিনি। একপ্রকার নিরুপায় হয়ে তিনিও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর আশ্রয় গ্রহন করেন তিনি। অবশেষে জমি বিক্রির নামে একাধিক লোকজনের সাথে প্রতারণা ও জালিয়তি করে লাখ লাখ টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগে থানার অফিসার ইনচার্জ বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে এসআই আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দলিল লেখক ফরিদ প্রকাশ ফরিদ মুন্সিকে গ্রেফতার করেন। গতকাল রাত সাড়ে টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত ফরিদু মুন্সি থানা হাজতে ছিলেন।