সংবাদদাতা:
পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের নাকের ঢগায় জনবসতি এলাকায় প্রভাবশালী কর্তৃক খোলা পায়খানা স্থাপন করায় মারাত্মক দূর্গন্ধে অতিষ্ট পড়েছে একটি গ্রামের প্রায় ১৫ পরিবার। জনবসতি এলাকায় খোলা পায়খানা স্থাপন করে তা ব্যবহার করে আশেপাশের বাসিন্দাদের বিষিয়ে তুললেও স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ বিনষ্টকারী ওই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ভূক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের নাকের ঢগায় অবস্থিত সিকদার পাড়া গ্রামের হাজী কালা মিয়ার পুত্র প্রভাবশালী মহিউদ্দিন বিগত কয়েকমাস আগে তার প্রতিবেশী গোলাম নবীর স্ত্রী রেজিয়া বেগমের বাসভবনের উঠানের সামনের দক্ষিণ পার্শ্বে খোলা পায়খানার গর্ত তৈরী করে। এরপর থেকে মহিউদ্দিনের ভাড়াটিয়া ও তার বাড়ীর লোকজনের বাথরুমের দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা রেজিয়া বেগমের বাসভনের সম্মূখে এসে মারাত্মক দূর্গন্ধে ছড়াচ্ছে। রেজিয়া বেগমের বাসভবন ছাড়াও আরো অন্তত ১৫ পরিবার ওই প্রভাবশালীর খোলা পায়খানার কারণে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ে অতি কষ্টে বসবাস করছেন। প্রভাবশালী মহিউদ্দিনের খোলা পায়খানার কারণে ওই গ্রামের ১৫ পরিবারের বসবাস অনুপযোগী হওয়ার উপক্রম হওয়ার পাশাপাশি নানান রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
রেজিয়া বেগম অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী মহিউদ্দিনকে খোলা পায়খানা বন্ধ করতে বেশ কয়েকবার তাগাদা দেওয়া হলেও তিনি কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি। উল্টো তিনি প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন প্রভাবশালী মহিউদ্দিন গং। রেজিয়া বেগম এর প্রতিকার চেয়ে ওই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্যানিটেরী ইন্সপেক্টরকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, জনবসতি এলাকায় খোলা পায়খানা স্থাপনা করা উচিত নয়। পরিবেশের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিও। তাই তিনি এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।