নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নে জুয়ার আস্তানায় হানা দিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ১ মেম্বার সহ ৪ জুয়াড়ি। তাড়াহুড়া করে পালাতে গিয়ে দুই ব্যক্তি আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইউনিয়নের মুসলিম বাজার এলাকায় জনৈক গিয়াস উদ্দিনের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসিয়ে আসছিল একদল জুয়াড়ী। এতে বাড়ছিল সামাজিক অস্থিরতা। জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলে আসছিল  রমরমা মাদক, জুয়া সহ হরেক রকমের অপরাধ কর্মকান্ড। এসবের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল পার্শ্ববর্তী জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোফাচ্ছেল মুফি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈদগাঁও পুলিশের আইসি মিনহাজ মাহমুদের নির্দেশে তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই নছিম উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন সহ সঙ্গীয় পুলিশ দল উক্ত মাদক ও জুয়ার আস্তানায় হানা দেয়। এরপর উক্ত আস্তানা জুয়াখেলায় মত্ত ও মাতাল অবস্হায় মেম্বার মোফাচ্ছেল, ইদ্রিচ ও আব্দুল হাকিম নামের ৩ ব্যক্তিকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যায় স্থানীয় জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য শাহাব উদ্দিন, বাদল, বাহাদুর ও রুহুল আমিন প্রমূখ। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে মেম্বার মোফাচ্ছেলের চাচাতো ভাই শাহাব উদ্দিন ও বাহাদুর গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা ডুলাহাজারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে আটককৃত মেম্বার মোফাচ্ছেলকে মুচলেকায় ছেড়ে দিলেও অপর জুয়াড়ী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে মামলা ওয়ারেন্ট থাকায় একই দিন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার মোফাচ্ছেল বলেন, আটকের বিষয়টি সত্য নয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছ থেকে জিম্মায় নিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন জানান, অভিযানের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সকালে ঐ আস্তানার মার্কেটের মালিককে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।