শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:
কক্সবাজার সদরের ঈদগড় হিমছড়ির ঢালা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দু’টি ডাকাত দলের সদস্যের বলে ধারণা করছে পুলিশ। শুক্রবার ১৬ মার্চ ভোরে সদর ঈদগাঁও ইউনিয়নের ঈদগাঁও ঈদগড়-বাইশারি সড়কের হিমছড়ির ঢালায় ছিন্নভিন্ন অবস্থায় দু’টি মরদেহের দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সকাল ১০টায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, নিহতদের শরীরের একাধিক ছুরির আঘাত, দা’য়ের কোপ ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা দু’জনেই ডাকাত দলের সদস্য। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক এলজি উদ্ধার করা হয়। নিহতদের একজন হলেন সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাশিয়া খালী গ্রামের মৃত ফসিউর রহমানের ছেলে আরফাতুর রহমান টিটু (৩০)। অন্যজনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া। তিনি বলেন, টিটুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, পটিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ৫/৬ টি গরু চুরির মামলাসহ অসংখ্য ডাকাতি,অস্ত্র মামলা রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা দু’জনেই গরু চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। গরু চুরির টাকা কিংবা ডাকাতির টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ ছিল। এর জের ধরেই কোনো এক পক্ষ তাদেরকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, যারা তাদের খুন করেছে তারা ডাকাত দলেরই লোক। পুলিশ তাদেরকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মরদেহ ২টি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
