শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে সরকারি জমি দখলে মেতে উঠেছে সরকার দলীয় দু’পক্ষসহ তিনটি গ্রুপ। এসব ভূমিদস্যুরা ইতিমধ্যে সুগন্ধা সড়কের অধিকাংশ সরকারি জমি দখল করে ফেলেছে। আর সামান্য কিছু যা জমি অবশিষ্ট রয়েছে তা নিয়ে তাদের মধ্যে রীতিমতো লড়াই চলছে সেখানে। এরই অংশ হিসেবে গত রোববার রাত ১টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহতও হয়েছে। তবে সরকারদলীয় সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে বড় ধরণের সংঘর্ষ রোধ হয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়ে সদ্য তৈরি ৩০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিমের উদ্দীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিম উদ্দীন জানান, সুগন্ধা সড়কের সরকারি জমিতে নির্মিত অন্তত ৩০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। দোকান সম্প্রতি রাতের আঁধারে তৈরি করেছে ভূমি দস্যুরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুগন্ধা সড়কের দু’পাশের প্রায় সব সরকারি জায়গা দখল করে ফেলেছে ভূমিদস্যুরা। সর্বশেষ হোটেল কক্স টুডের সড়কের পাশের জায়গাগুলোও দখল শুরু করে ভূমিদস্যুরা। গত ১৭দিন ধরে এই দখলযজ্ঞ চলছে। এই সময়ে গভীর রাতে টিন ও বাঁশ দিয়ে ৩০টির বেশি দোকান নির্মাণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দু’গ্রুপের লোকজন এই দখলযজ্ঞ চালাচ্ছে। এই দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছে।
অন্যদিকে কলাতলীর কিছু লোকজনও এই দখলযজ্ঞের সাথে জড়িত রয়েছে। ফলে তিন গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি দখল ও হুমকি-ধমকি চলছি। এরই অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার গভীর রাতে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দোকান নির্মাণ ও দখলকে কেন্দ্র করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ও হাজী জসিমসহ বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কলাতলী এলাকার কিছু যুবককে দেখা গেছে। সংঘর্ষে জড়িতরা ছুরি, কিরিচ ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তাদের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এসময় কিরিচের কোপে একজনের মাথায় মারাত্মক জখমও হয়েছে। নানাভাবে আহত হয়েছে আরো কয়েকজন। তবে সরকারী দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিমের উদ্দীন বলেন, ‘সুগন্ধা পয়েন্টে সরকারি মূল্যবান জায়গা দখল করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে ভূমিদস্যুরা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।