ডেস্ক নিউজ:
খালেদা জিয়ানথি না আসায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ পিছিয়ে আগামীকাল সোমবার পুনরায় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১১ মার্চ) এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলেও আদালতের কাছে নথি পাঠানোর ১৫ দিন সময় শেষ হয়নি কারণ দেখি মর্মে এ আদেশের দিন পেছানো হয়।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এছাড়াও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদেশের সময় জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, আদালতের নির্ধারিত ১৫ দিন সময় শেষ হলেও এখন পর্যন্ত নথি (বিচারিক আদালতের) আসেনি। কিন্তু জামিন দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের ক্ষমতা রয়েছে।
এ সময় আদালত বলেন, ‘আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি আদেশ (নথি পাঠানোর) দিয়েছিলাম। আমাদের আদেশ তারা (বিচারিক আদালত) কবে পেয়েছিলেন? জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ওই একইদিনে (২২ ফেব্রুয়ারি) তারা নথি পাঠানোর আদেশ গ্রহণ করেছেন।’
আদালত তখন বলেন, ‘জয়নুল সাহেব নোটিশে দেখা যাচ্ছে আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি নথি পাঠানোর আদেশ দিয়েছি। ওইদিন হয়তো আদেশ যায়নি। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, নথি আসার সময় আজ শেষ হচ্ছে। তাই নট টু ডে (আজ আদেশ নয়) করে রাখছি। আজ পর্যন্ত দেখি, নথি আসে কিনা।’
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আপনাদের (বিচারপতিদের) ক্ষমতা রয়েছে জামিন আদেশ দেওয়ার। আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন। আদালত তখন বলেন, আমরা একটু দেখি। দুপুর পর্যন্ত দেখি নথি আসে কিনা।’
এরপর আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশের দিন পিছিয়ে পুনরায় আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়াকে জামিন বিষয়ে রবিবার (১১ মার্চ) দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টে মামলাটি কার্যতালিকার (কজলিস্ট) এক নম্বরে রাখা ছিল।
এর আগে ৮ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। ওই দিন হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন থেকে খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।