সাহেদ মিজান , সিবিএন :
গতকাল ৮ মার্চ, সময়: সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। পিটিস্কুুল বাসা থেকে টমটমে করে অফিসে যাচ্ছিলাম। কালুরদোকান থেকে আটকা পড়েছে সব গাড়ি। ভীড় ঠেলতে ঠেলতে আমাদের টমটমটা বার্মিজ মার্কেট আগ পর্যন্ত এসেছে।ততক্ষণে ২৫ মিনিট হয়ে গেছে। কিন্তু যানজট ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু জট আরো জটিল হচ্ছে। উঁকি দিয়ে দেখছি বার্মিজ স্কুল মোড়ে ত্রাহী অবস্থা। ডানে-বামে, সামনে-পিছনে এলোপাতাড়ি গাড়ি। এতে পথচারী চলাচল একেবারে বন্ধ। এরই মধ্যে 30 মিনিট পার হয়ে গেছে। শেষে বাধ্য হয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা ধরলাম। মোড়ের কাছাকাছি এসে বুঝতে পারলাম ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এই মারাত্মক অবস্থা। অারেকটু সামনে এসে দেখলাম ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী গাড়ির ভীড়ে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে (ছবিতে সাদা শার্ট পরিহিত)।তিনি একে একে প্রতিটি গাড়িকে ট্রাফিক নিয়ম মতো ছাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে ততক্ষণে নিশ্চিত হলাম এমন ব্যস্ত মোড়ে এমন ব্যস্ততম সময়ে ট্রাফিক পুলিশের চিহ্নও নেই। তাতে এমন রাগ উঠেছে- বিড় বিড় করে ট্রাফিকপুলিশকে গালি দিচ্ছি ! শুধু আমি সবাই প্রকাশ্যে কমবেশি গালি দিচ্ছে। কিন্ত ওই মুহুর্তে রায়হান কাজেমীর কর্মদৃশ্য রাগ অনেক কমিয়ে দিয়েছে।পেশাগত কাজ করতে ওঁনাকে অনেক কাছ থেকে জানি। কিন্তু ওঁনার এই দায়িত্বশীলতায় আরেকবার অভিভূত হলাম। মনের গভীর থেকে তাঁর প্রতি জেগে উঠলো একরাশ শ্রদ্ধা। আসলে রায়হান কাজেমীরা জন্মায় বলে বাংলাদেশ বার বার জেগে উঠে। জয়তু রায়হান ভাই। আগামীতেও দেশে আরো ভালো কিছু দিয়ে যাবেন – এই প্রত্যাশা। …. ওদিকে ট্রাফিক পুলিশেরা ঘুমায়।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।