বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার যুবলীগের খোরশেদ আলম আর মাহাবুবুর রহমান মাবুর বিকল্প কে হচ্ছে তা নিয়ে জেলা জুড়ে তুমুল আলোচনা চলছে। কক্সবাজারের যুবলীগের সবচেয়ে সফল এই নেতৃত্বের উত্তরসুরি কেমন হবে তা নিয়েও জেলা জুড়ে যুবলীগের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন মতামত দিচ্ছে। তবে সবার একই কথা কক্সবাজারের যুবলীগের এমন নেতৃত্ব দরকার যারা পূর্বসূরি খোরশেদ-মাবুর কমিটির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে। তাই আগামী জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে চমক আসছে বলে জানা গেছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর চলতি মাসের শেষের দিকে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। দিন তারিখ চুড়ান্ত না হলেও কিছুদিনের মধ্যে সম্মেলন হবে সেটি নিশ্চিত । জেলা যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, মার্চের শেষে না হলেও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন।

সম্মেলনকে ঘিরে এরই মধ্যে লবিং ও দৌড়ঝোঁপ শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশী নেতারা। যুবলীগের হাল ধরতে আগ্রহীদের দৌড়ঝাঁপ চলছে। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং, জেলার সিনিয়র নেতাদের ও সাধারণ নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা। সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদের দৌড়ে রয়েছে প্রায় এক ডজন নেতা। তবে সভাপতি পদের চেয়ে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীর সংখ্যায় বেশি।

কাউন্সিল হোক বা কেন্দ্র থেকে নির্ধারন করা হোক, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে মূলত দুই সোহেল। এরা হলেন জেলার দুই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান  সোহেল আহমদ বাহাদুর ও শহিদুল হক সোহেল । নিজের যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার দিক দিয়েও এই দুই যুবনেতা সমউজ্জ্বল। এছাড়াও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম কনকও জেলা যুবলীগের সভাপতি পদ পেতে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা অবস্থান করে শক্ত লবিং করে আসছে। তাই খোরশেদ-মাবু জুটির মতো কক্সবাজার যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব দিতে গেলে সভাপতি নির্বাচন বা নির্ধারন করতে হিমশিম খেতে হবে কেন্দ্র ও তৃণমূলের নেতাদের।

কক্সবাজার যুবলীগের তৃনমূলের নেতা কর্মীরা মনে করেন, জেলায় যুবলীগের আগামী নেতৃত্বে বর্তমান সভাপতি খোরশেদ আলমের স্থলে একজন দক্ষ, পরীক্ষিত, ত্যাগী, পারিবারিক ঐতিহ্যে ও আগামীদিনে যুবলীগের রাজনীতির মাঠ দখল এবং কক্সবাজার শহরে প্রভাব বিস্তার ও আন্দোলন সংগ্রাম করার চিন্তা করে সভাপতি নির্বাচন করতে গেলে শহিদুল হক সোহেলকে বেছে নিতে হবে। আবার পরিচ্ছন্ন ও শান্তশিষ্ট স্বভাবর জন্য সোহেল আহমদ বাহাদুর ও যোগ্য প্রার্থী বলে অনেকে মনে করে থাকেন অনেকে। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয়া এডঃ নুরুল আজিম কনককেও যোগ্য মনে করছেন অনেক সাবেক ছাত্রনেতারা।

জেলা যুবলীগের সভপতি পদের চেয়ে সাধারন সম্পাদক পদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হবে। ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়ে তৃনমূলের থেকে উঠে আসা একাধিক যুবলীগ নেতা জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হতে দীর্ঘদিন ধরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সাধারণ সম্পাদক দৌড়ে আছেন কক্সবাজার শহর যুবলীগের আহবায়ক কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত শোয়েব ইফতেখার, দীর্ঘদিনের কারা নির্যাতিত সাবেক সফল ছাত্রলীগ নেতা ডালিম বড়ুয়া, কক্সবাজার সদর যুবলীগের সভাপতি কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা ইফতেখার উদ্দিন পুতু, কক্সবাজার পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর ছোট ভাই যুবলীগ মাসুকুর রহমান বাবু, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশলী ছাত্রনেতা আলী আহমদ, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক সফল ছাত্রনেতা নুরুল আলম । তারা সবাই কেন্দ্র, জেলা ও তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। তবে জেলা যুবলীগের বর্তমান সফল সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের মতো যোগ্যতা সম্পন্ন সাধারন সম্পাদক কে হবেন তা নির্ধারন করতেই হিমশিম খেতে হবে যুবলীগ নেতাদের।

সেই সাথে তারা জেলার শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত লবিং চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সাথে সাক্ষাতও করেছেন।

সর্বশেষ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর কয়েক দফা সম্মেলন করার চেষ্টা চালানো হলেও সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে গুরত্বপূর্ণ পদে স্থান পেয়েছেন। তাই সম্মেলন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।