সংবাদদতা:
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বড়–য়াপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৭ মার্চ দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। অগ্নিকান্ডের এই ঘটনায় দুই বসতবাড়ী সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে। এতে চার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।

সব হারানো তৃষা বড়–য়া জানান, তিনি বেসরকারী সংস্থা মুক্তিতে চাকরি করেন। দুই মেয়ে এক ছেলে নিয়ে তার পরিবার। স্বামীও একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকরি করার সুবাদে খাগড়াছড়িতে থাকেন। পরে তিনি কর্মস্থল উখিয়ায় ছিলেন। সন্তানেরা ছিল বিদ্যালয়ে । মোবাইল ফোনে তিনি খবর পান তার বাড়ী আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি দ্রুত বাড়ী ফিরে এসে দেখেন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের সময় ঘরে কেউ ছিলেন না। ঘরের বাহির থেকে তালা লাগানো ছিল। তাই কিছুই রক্ষা করা যায়নি। বর্তমান পরিবার নিয়ে তিনি খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অপর ক্ষতিগ্রস্ত চুমকি বড়–য়া জানান, ৭ মার্চ স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) বিতরণের কথা ছিল। খবর পেয়ে আশপাশের প্রায় দশ বড়–য়া পরিবারের লোকজন একযোগে স্মার্ট কার্ডের জন্য চলে যান। তারাও যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হচ্ছিলেন। বাড়ীর বাইরে এসে তালা লাগানোর সময় দেখতে পান বাড়ীর পেছন থেকে আগুন জ্বলে ওঠছে। তিনি দরজা খোলে দ্রুত বাড়ীর ভিতরের রান্না ঘরে গিয়ে দেখেন সেখানে সব ঠিক আছে। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তিনি কোনমতে বাড়ী থেকে আবার দ্রুত বের হয়ে আসেন। বাড়ীর এক সেট সোফা ছাড়া বাড়ীর কিছুই রক্ষা করা যায়নি।

চুমকি বড়–য়ার স্বামী সুকুমার বড়–য়া জানান, তার অপর ভাই সুমন বড়–য়ার পরিবারসহ তারা দুই পরিবার যৌথভাবে বাস করতেন। ভরা পরিবার ছিল তাদের পরিবার। গতকালের অগ্নিকান্ডের এই ঘটনায় তারা এখন এককাপড়ে আছেন। কিছুই অবশিষ্ট নেই।

এদিকে খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ততক্ষণে দুইটি বাড়ী সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

দিনদুপুরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও আগুনের সূত্রপাত কি করে হল তা কেউ বলতে পারেননি।