হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

অসম্ভবকে সম্ভব করতে মনের সাহসই যে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী তা প্রমান করেছেন কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ার বোমাংখিল গ্রামের এক নারী। তাঁর নাম সাজনীন জাহান। তিনি সুশিক্ষিত।

অন্যান্য গ্রাম্য বধুর মতোই চার দেওয়ালের গ-ির মধ্যে রক্ষনশীল জীবন যাপন করার কথা থাকলেও তিনি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। অদম্য স্পৃহা ও প্রবল সাহসের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে একজন নারী উদ্যোক্তা এবং সফল কৃষানি হওয়ার চেষ্টা করছেন।

ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে স্বশ্রমে বাড়ির আঙিনায় শসা, বেগুন, টমেটো, লাউ, মরিচ, বরবটি, ধনে পাতা, শিম, আলু, কাকরল, পুকুরে মাছ চাষ, হাঁস-মুরগী-কবুতর লালন পালন করে পেয়েছেন সফলতা।

সাজনীন জাহান নিজেকে কিষানি পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন। অথচ তাঁর আগের পাঁচ প্রজন্মের কেউ নাকি কৃষিকাজের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন না। তাঁর বিয়ে হয়েছে রাজনৈতিক পরিবারে, সরাসরি তাঁদেরও কেউ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত নন।

একটা সম্পদশালী পরিবারের সদস্য হয়েও কেন কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত এমন প্রশ্নে সাজনীন বলেন, ‘সাধারণত ধনী পরিবারের নারীরা একটু বিলাশ বহুল জীবন যাপন করতে ইচ্ছুক, তাঁরা কাজকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। সে ক্ষেত্রে আমার উদ্যোগটা একটা সামাজিক আন্দোলন। আমি কৃষি কাজেই সফলতার স্বপ্ন দেখি।’

সাজনীন জাহানের স্বামী শাহারীয়ার ওয়াহেদও একজন সামাজিক উদ্যোক্তা। স্ত্রীর কৃষিকাজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের সন্তানের মতোই বাড়ির আঙিনার খেতখামারকে গুরুত্ব দেওয়া খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি স্ত্রীকে এ ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সাহস যোগান।’

গর্জনিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সাজনীন জাহানের উদ্যোগটি অসাধারণ। তাঁর দেখাদেখি সম্পদশালী পরিবারের অনেক নারীই কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হবেন।’