ইফতেখার শাহজীদ, কুতুবদিয়া:

দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক-মহাসড়কগুলো লবণ পানিতে পিচ্ছিল হয়ে জন-যোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বে-আইনিভাবে এলোপাতাড়ি স্তুপাকারে লবণের বস্তা রাখায় সংকীর্ণ হয়ে ব্যস্ততম সড়কগুলো মরণফাঁদে রূপ নিচ্ছে। এতে করে যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন সচেতন মহল। লবণ পরিবহনের এ ব্যবস্থায় দ্বীপের সংযোগ সড়ক, প্রধান সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্টগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে বার বার আলোচনা হলেও বাস্তবক্ষেত্রে তার স্থায়ী কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা দ্বীপবাসী।

সরেজমিনে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ব্যস্ততম ক্রসডেম সড়ক গিয়ে দেখা যায়, কৈয়ারবিল হয়ে উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ সড়ক হওয়ায় লেমশীখালী ইউনিয়নের শাহাজীর পাড়া, মৌজার পাড়া, ঠান্ডা চৌকিদার পাড়া, আশাবাপের পাড়া, হাবিব হাজির পাড়া, ছিদ্দিক হাজির পাড়া ও মলমচরসহ প্রায় ৭টি গ্রামের ৬ হাজার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এ ক্রসডেম সড়ক। ব্যস্ততম সড়কটিতে এলোপাতাড়িভাবে রাখা হয়েছে লবণের বস্তার স্তুপ। ফলে ওই স্তুপ থেকে লবণাক্ত পানি ও কাদা বের হয়ে রাস্তাজুড়ে যান ও জন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ পথচারীসহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মৌসুমজুড়ে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের কতিপয় লবণ ব্যবসায়ী দাপট দেখিয়ে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র স্তুপাকারে লবণের বস্তা রাখার ফলে রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে যান চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

অপরিকল্পিত লবণ পরিবহন ব্যবস্থার কারনে দ্বীপের ব্যস্ততম আজম, কৈয়ারবিলের নজরআলী মাতবর, বিন্দাপাড়া, দরবার, স্টিমারঘাট, মিরাখালী, বাঁকখালী, রাজাখালী, ছাদেরঘোনা, বাইঙ্গাকাটা, আকবরবলী, আকবর শাহ্, মলমচর, কলেজ, লেমশীখালী সেন্ট্রাল, সতরুদ্দিন, আমজাখালী, তাবালেরচর ও বায়ুবিদ্যুৎ সড়কসহ জন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের বেহাল অবস্থা। লবণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ট্রলি (লবণ পরিবহনের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি ট্রাক) নিয়ে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুন লবণ পরিবহন করে রাস্তা-ঘাট বিনষ্ট করার অভিযোগ অনেক দিনের।

স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুিল দেখিয়ে দ্বীপের সংযোগ সড়ক, প্রধান সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্টগুলোকে যথেচ্ছা ব্যবহার করে যান চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে। এবিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দ্বীপের সচেতন মহল।