প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেছেন, কক্সবাজারের সাংবাদিকেরা অনেক বেশি চর্চা করে, পরিশ্রম করে। কিছু কিছু সংবাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়কে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানের সাজাতেও দেখা যায়। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকের তুলনায় কক্সবাজারের সাংবাদিকেরা কোন অংশে কম নয়। আমি মনে করি, এক সময় কক্সবাজারে বিবিসি-রয়টার্সের মত সংবাদ মাধ্যম গুলোর সাব অফিস কক্সবাজারে।

শনিবার বিকেলে পদোন্নতি ও বিদায় জনিত কারণে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন। ওই সংবর্ধনা সভায় সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের ভুমিকা জেলা প্রশাসক তাঁর প্রত্যক্ষ করা অভিজ্ঞতা থেকে তুলে কক্সবাজারের সাংবাদিকদের সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) সত্য প্রকাশে কোনভাবেই আপোষ করবেন না। সেটা যত চ্যালেঞ্জিং হউক। এমনকি প্রশাসনে হলেও আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন। পেশার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সত্যটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরবেন।

বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, কক্সবাজার কুতুবদিয়া উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে শুরু করে টেকনাফের সেন্টমার্টিন পর্যন্ত এমন কোন স্থান নেই, যেখানে আমার পা পড়েনি। সবার অন্তরে ঢুকে দুঃখ-কষ্ট বুঝার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু পেরেছি। তবে কক্সবাজারবাসী আজীবন আমার মনে গেঁথে থাকবেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ তিন বছর কাজ করতে গিয়ে কখনোই মনে হয়নি, আপনারা (সাংবাদিক) আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আপনাদের সহযোগিতায় কক্সবাজারের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। কক্সবাজার একটি উন্নত স্থান, এটাকে আরও বেশি তুলে ধরুন। আপনাদের হাত ধরেই কক্সবাজার সমাদৃত হবে। আমি কক্সবাজারবাসীর সাথে আজীবন থাকবো।

বিদায় সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক বদিউল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সদস্য অ্যাড. আয়াছুর রহমান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ ও আব্দুল কুদ্দুস রানা।