জিয়াউল হক জিয়া, চকরিয়াঃ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে মহাসড়কে চকরিয়া উপজেলাধীন মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অব্যাহত রাখা সাঁড়াশি অভিযানে গত ০২ মার্চ ও ০৩ মার্চ ( রাত সাড়ে ১১ টা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ১১ পর্যন্ত) ১২ ঘন্টায় ৩৪ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার; পাচারকারী আটক-৬ জন, গাড়ী জব্দ-২টি।

জানা যায়, গত ০২ মার্চ রতি ১১ পয়ঁত্রিশ মিনিটের সময় বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের গেইটের সামনে প্রাইভেট নোহা গাড়ী ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৬৬৬৫ সন্দেহ মূলক আটক করে উপস্থিত লোকজনের সামনে গাড়ীটি তল্লাশি করে গাড়ীর সিটের নিচে কস্ট্যাব দিয়ে মোড়ানে ৪টি স্টিক পাওয়া যায়। এতে ৩০ হাজার পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু তল্লাশির সাথ সাথে গাড়িতে থাকা ড্রাইভারসহ লোকজন পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে জনতা ও পুলিশ ধাওয়া করে আটক করে। পাচারকারীরা হলেন টেকনাফ উপজেলার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র মোঃ জুবায়ের (২১) ও পালাতক মোঃ সেলিম (২৯), একই গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের পুত্র মোঃ ইউনুছ (বার্মাইয়া) (২৭) এবং ঐ এলাকার জালাল আহমদ (২৭) দেরকে আটক করেন অত্র ফাঁড়ির এ এ এস আই ছবিউল্লাহ সহ নবাগত ইনচার্জ আলমগীর হোসেন।

একই ভাবে গত ০৩ মার্চ সকাল ১১ ত্রিশ মিনিটের সময় মেধাকচ্ছপিয়া ঢালা ফরেস্ট ডিউটি ঘরের সামনে সন্দেহজনকভাবে একটি প্রাইভেট কার ( ঢাকা মেট্রা-গ-১৫-২৬৬৬) সিগনাল দিয়ে দাড় করে তল্লাশি চালিয়ে টিস্যু বক্সের ভিতরে ৪ হাজার পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। পাচারকারীরা হলেন, ঢাকা মহানগর থানা-খিলক্ষেত, গ্রাম- খিলক্ষেত খাঁপাড়া এলাকার মৃত কেরামত আলীর পুত্র মোঃ তুহিন খাঁন (৩৫), চাঁদ পুর জেলার হাজ্বীগঞ্জ থানার অলিপুর (ডালি বাড়ী) গ্রামের মনছুর আলীর পুত্র মোঃ শরীফ (১৯) ও হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর থানার কমলপুর গ্রামের মৃত কাদের মিয়ার পুত্র ছোট্র মিয়া (৩৫) দেরকে কর্মরত ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ সেলিম মিয়া আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন বলে জানা যায়।

মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির চৌকস অফিসার (ইনচার্জ) আলমগীর হোসেন জানান, গত ০২ মার্চ রাত্রে ৩০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ পাচারকারীদেরকে আটক করে গাড়ী জব্দ করে তাদেরকে পরের দিন সকালে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনের মামলা দিয়ে সোপর্দ করেছি। এছাড়া গত ০৩ মাচ ৪ হাজার পিচ ইয়াবা নিয়ে আটক পাচারকারীদেরকে মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাতে সোপর্দ করা হবে। কেননা, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষের নির্দেশ মোতাবেক আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখাতে এসব কৌশলে পাচারকারীদেরকে আটক করতে সক্ষম হচ্ছি বলে উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।