সাইফুল ইসলাম :
কক্সবাজার শহরে একেক বাজারে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। এতে বিপাকে পড়েছে বিক্রেতারা। এক বাজার থেকে অন্য বাজারে প্রায় ১৫ থেকে ২০ বাড়তি দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে অধিকাংশ বাজারে টাঙ্গানো নেই বাজারের নিত্যপণ্যে দামের তালিকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের বড়বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির দাম বড়বাজারে তুলনায় অন্যান্য বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়া। বড় বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ব্রয়লার ১২০ টাকা, সাদা লিয়ার ১৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৩০ টাকা, লাল লিয়ার ১৮০ টাকা, সাদা কক ১৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। একই দিন কানাই বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ব্রয়লার ১৩৫ টাকা, সাদা লিয়ার ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৪০ টাকা, লাল লিয়ার ২০০ টাকা, সাদা কক ১৬০ টাকা ও দেশী মুরগি ৩৫০ টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। একইভাবে বৃহত্তর রুমালিয়ারছড়া পিটিস্কুল বাজার ও কালুর দোকান বাজার, আলিঁর জাহাঁল বাজার, বিডিআর ক্যাম্প বাজার, উপজেলা বাজার, গোলদিঘি বাজার, বাহারছড়া বাজারসহ শহরের বাজারগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে মুরগি। তবে বাজারে নিত্যপণ্যের তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশ থাকলেও কয়েকটি বাজারে দেখা গেলাও বেশিরভাগ বাজারে দেখা মিলেনি মূল্য তালিকা। বেশ কয়েকজন মুরগি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেক বাজারে যাতায়াত বিল একেক দামের, তাই দামও একেক রকম।
বৃহত্তর রুমালিয়ারছড়া পিটিস্কল বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. আলম জানান, আসলেই শহরের বাজারগুলোতে একেক বাজারে একেক দামে দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। যেহেতু একেক বাজারের যাতায়াত বিল একেক রকমের হয়ে থাকে তাই দাম সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এমনিতেই বাজারে চালসহ নিত্যপন্যের দাম চড়া। এরইমধ্যে আবার একেক বাজারে একেক দামে মুরগি বিক্রি। বেশির ভাগ বাজারে টাঙ্গানো নেই নিত্যপণ্যের তালিকা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।