নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময় স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। একটি জনবান্ধব চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই খাতের কোনো অংশে অনিয়ম ও গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। কারণ ভাল চিকিৎসা সেবা না পেলে ভাল জাতি গড়ে উঠবে না।
স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শীঘ্রই আরও ১০ হাজার চিকিৎসক ও ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে। এতে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে লাঘব হবে চিকিৎসক ও কর্মচারি সংকট। তিনি চিকিৎসক, নার্সসহ সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান।
গত বৃহস্পতিবার রাত নয় টায় কক্সবাজার শহরের সাগরপাড়ের একটি তারকা হোটেলে দুইদিন ব্যাপী বাংলাদেশ অবেদনবিদ সোসাইটির ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলন ও আঞ্চলিক অবেদনবিদদের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করেছেন। দারিদ্র্যতা কমিয়েছেন। অর্থনীতিকে গতি দিয়েছেন। দরিদ্র নি¤œ আয়ের দেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করেছেন। অসংখ্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছেন। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। শিক্ষায় বিপ্লব ঘটেছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অবেদনবিদ সোসাইটির সভাপতি ডা. এবিএম মকসুদুল হক। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) সচিব মো. ফয়েজ আহমেদ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নাসিমা সুলতানা, ভারতের খ্যাতনামা চিকিৎসক সুদীপ্ত সাহু।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সুভাষ চন্দ্র সাহা, কক্সবাজার বিএমএ’র সভাপতি ডা. পু চ নু, সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ অবেদনবিদ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবব্রত বনিক। তিনি বলেন, উপমহাদেশের দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এ্যানেসথেসিওলজিস্ট (বিএসএ) গঠন করা হয়েছিল। সেই থেকে আজ অবদি অবেদনবিদরা শুধুমাত্র ব্যথামুক্ত শল্য চিকিৎসায় সীমাবদ্ধ না থেকে মুমূর্ষ রোগীর নিবিড় পরিচর্যা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিরাময় ও নিরাময় অযোগ্য রোগীর চিকিৎসা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্মেলনে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বরেণ্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।