এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় ছেলেকে জুতা কিনে না দেয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে নবম শ্রেণীতে পডুয়া এক স্কুল ছাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাহতাব উদ্দিন খালেদ(১৫)। সে উপজেলার চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও চকরিয়া পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনা মাষ্টার পাড়া এলাকার মনির উদ্দিন খালেদের পুত্র।সোমবার(২০ফেব্রুয়ারী)সকাল ১১টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটানাটি ঘটে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জুতা কিনে দেয়ার জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবদার করেন নিহত শিক্ষার্থী মাহতাব।বাবা ছেলের আবদার করা কথা শুনে তাকে বিকালে জুতা কিনে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মা-বাবা দুজনেই সকালে তাদের কর্মস্থলে চলে যান।মা-বাবা দু’জনই একটি প্রাইভেট(এনজিও)সংস্থায় একই সাথে কাজ করেন।বাবা-মা যাওয়ার সময় বাড়িতে ছেলে মাহতাব ও তার ছোট দু’ভাই বোনকে রেখে যান।পরে তার ছোট ভাই-বোন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যায।স্কুল ছুটি শেষে ছোট ভাই বাড়িতে ফিরে দেখে বাড়ির একটি কক্ষে খুঁটির সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে রশিতে ঝুলছে বড় ভাই মাহতাব।তার ভাইয়ের গলায় ফাঁস দেয়ার খবরটি স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলে তারা দ্রুত মাহতাবকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মিজানুর রহমান বলেন, বাবা-মা ছেলের আবদার না রাখায় নিহত শিক্ষার্থী অভিমান করে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।