মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ও ঘুমধুম ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক আধুনিক পদ্ধতিতে বসতভিটার আঙ্গিনায় শীতকালীন সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং বীজ প্রদান করা হয়। এতে প্রশিক্ষণ ও বীজ প্রদানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কক্সবাজার সলিডারিটিস ইন্টারন্যাশনাল এবং বাস্তবায়নে ছিলেন ‌গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস)।
বৃহস্পতিবার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ফুইট্টাঝিরি এলাকার ছুরুত আলমের বসতভিটায় প্রশিক্ষণের সমাপনী অনু্ষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন সদর ইউরিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহি অফিসার এস এম সরওয়ার কামাল বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ করলে অধিক উৎপাদন হবে তাই অধিক সবজি ফলনে আধুনিক পদ্ধতির বিকল্প নেই। বিশেষত শিশুদের টাটকা পুষ্টির যোগান আমরা এখান থেকেই পেতে পারি। যেহেতু ক্যামিকেল মুক্ত, তাই শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এটি যেমন সাশ্রয়ী এবং পরিবেশের ভারসাম্য রাক্ষা করবে, তেমনি বেশি শস্য উৎপাদিত হবে। কৃষি উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অলক দাশ বসতবাড়ির চারপাশে একটি করে মডেল বাগান করার আহবান জানিয়ে বলেন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির উৎপাদন কৌশল, রোগবালাই দমন, জৈব কীটনাশকের ব্যবহার, জৈব সারের ব্যবহার, কুমড়া জাতীয় ফসলে সে· ফেরোমন ব্যবহার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অলক দাশ, গ্রাউস প্রকল্প সম্ময়কারী কর্মকর্তা মাইকেল মন্ডল, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, যুগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, কৃষি উপ সহকারি কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম রাজীব, মংচিং থোয়াই চাক্ , সদর ইউপি সদস্য মিসেস জুহুরা বেগম, কৃষক ছুরুত আলম। এই প্রশিক্ষণে উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ভাল্লুখ্যাইয়া , প্রদানঝিরি ও ফুইট্টাঝিরি এলাকার ৩ ব্যাচের ৫০জন নারী-পুরুষ এবং ঘুমধূম ইউনিয়নের ভূমিহীন পাড়া, তুর্মরু বাজার পাড়া ও আমতলী পাড়ায় ৩ ব্যাচে ৫০জন নারী-পুরুষসহ মোট ১০০ জন কৃষক- কৃষাণি অংশ নেয়।
প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ১০০ জন অংশগ্রহণকারীর কৃষকদের মধ্যে সাত ধরনের সার ও সে· ফেরোমনসহ শীতকালীন সবজির বীজ যথা লাল শাক, ডাটা শাক, পালং শাক, মূলা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া প্রভৃতি সবজির বীজ তুলে দেয়া হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি কৃষি উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অলক দাশ ও উপসহকারি শিমুল কান্তি বড়ূয়ার যৌত পরিচালানায় প্রশিক্ষণে সহায়তা করেন গ্রাউসের মাঠ কর্মী (এসফ) সালমা আক্তার এবং চোমিও মার্মা।