সিবিএন :

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ঠেকাতে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা উষ্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের নেতারা। আজ কক্সবাজারের উখিয়ায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এই অভিযোগ করা হয়। সামাবেশে দাবি করা হয় দেশি-বিদেশি এনজিও নিজেদের সার্থে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন রোধে বিভিন্ন দাবি দাওয়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের উষ্কে দিচ্ছে। এই সমাবেশে প্রত্যাবাসন তরান্তিত করতে উষ্কানি দাতা এনজিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন সহ বেশ কিছু দাবি উত্তাপন করা হয়। দাবি আদায়ে আগামী ৩০ জানুয়ারী উখিয়ায় অবস্থান ধর্মঘট ডেকেছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটি।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেছেন, এইবার মানবিক দিক বিবেচনা করে মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা প্রায় সাড়ে ৬ লাখেরর বেশি রোহিঙ্গাকে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা ও আন্তর্জাতিক চাপের ফলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই জন্য দুদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নের আগ মুহুর্তে কতিপয় এনজিও সংস্থা নিজেদের সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যেতে নানা ভাবে উষ্কানি দিচ্ছে। যার ফলে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই অবিলম্বে এসব এনজিওর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়ের ফলে উখিয়া-টেকনাফে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ জনগনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবী জানান। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা এনজিও গুলোতে চাকুরী নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া ও স্থানীয়দের ব্যবসা-বানিজ্যে সুযোগ দেয়ার আহবান জানান।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারন সম্পাদক পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সংগ্রাম কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নুর মোঃ সিকদার সহ স্থানিয় জনপ্রতিনিধিরা।