ইমাম খাইর, সিবিএন:
সরকারি কোষাগার থেকে পেনশন ও বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবিতে ২ দিনের কর্মবিরতি পালন করছে কক্সবাজার পৌরসভার তালিকাভুক্ত ১৩৬ জন জনসহ ৪’শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আজ (১৫ জানুয়ারি) থেকে সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৩২৭টি পৌরসভায় একযোগে এই কর্মসুচি পালিত হয়।১৬ জানুয়ারী বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ কর্মসুচি চলবে।
বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএস) কক্সবাজার এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে কর্মবিরতি পালনকালে বক্তব্য রাখেন পৌর সচিব রাসেল চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সংগঠনের সহ-সভাপতি শামীমা আকতার, মোরশেদুল আজাদ আবু, সিরাজুল কালাম আজাদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাবুদ রাজন, বিভাগী প্রচার সম্পাদক টিটন দাশ, মো. আবদুল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন- প্রকৌশলী রনজিত কুমার দে, সংগঠনের সদস্য শাওন চক্রবর্তি, নিরূপম শর্মা, সিরাজুল হক, সজল পাল, নয়ন পাল, প্রমথ পাল, শিপক দে প্রমুখ।
কর্মসুচিতে সংহতি প্রকাশ করেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাজ বিহারী দাশ, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম।
সভায় বক্তৃতাকালে জানানো হয়, সরকারি কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মানবিক দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধু কক্সবাজার নয়, দেশের ৩২৭টি পৌরসভায় এই কর্মসুচি পালিত হচ্ছে। দেশের ২২৬ টি পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ থেকে ৫৮ মাসের বেতন-ভাতা বাকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫৮ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে পৌরসভাগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫১৬ কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে।
সুত্র জানায়, দেশের সবক’টি পৌরসভার জন্য বছরে প্রয়োজন ৬২০ কোটি টাকা। এটা সামান্য। সরকার চাইলে এ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে সরবরাহ করতে পারে। ৩২৭টি পৌরসভায় মোট ৩২ হাজার ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কেউই পেনশন পাননি। দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৭৫ শতাংশ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হলেও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র দশমিক ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএস) কক্সবাজার এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম জানান, অবসরে যাওয়ার পর অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অসুস্থ হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের পেনশনের টাকাটা জরুরি। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আমরণ অনশনসহ বৃহৎ কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।