ডেস্ক নিউজ:

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছে ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এতে করে স্থানান্তরিত শরণার্থীদের তুলনামূলকভাবে সহজে মৌলিক সেবা ও সহযোগিতামূলক সেবা দেয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছে তারা।

বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাপ মারার ঝিরি ও বড় শনখলা এলাকায় অবস্থানরত আনুমানিক ৯ হাজার চারশ জন রোহিঙ্গাকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তরের জন্য সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।

ইউএনএইচসিআর জানায়, রোববার প্রথম দফায় ৪৭টি পরিরবারের ১৯৯ জন সদস্যকে কুতুপালং শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক স্বাস্থ পরীক্ষা করা হবে ও গরম খাবার (খিচুড়ি) দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি পরিবারকে জরুরি ত্রাণ ও বাসস্থান সামগ্রীও দেয়া হবে।

‘এই পরিবারগুলো সীমানার কাছাকাছি অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন, সেখানে যাওয়া এবং যথাযথ সহযোগিতা দেয়া অনেক কঠিন,’ বিবৃতিতে বলেন ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র ক্যারোলিন গ্লুক।

তিনি আরও বলেন, ‘এসব মানুষগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারতেন না। কুতুপালং শিবিরে স্থানান্তরের ফলে তাদেরকে এখন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া যাবে।’