সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী উপকূলবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বেড়িবাঁধ নিদিষ্ট সময়ে শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান এলাকাবাসী। চলতি বছরের জুন মাসে কাজের শেষ হবার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। বর্তমানে গাছের খুঁটি ও কিছু বালির বস্তার কাজ চললেও বৃহৎ কোন কাজ করছেনা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে পানি নেমে না যাওয়া ও বিল না পাওয়ায় কাজে তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের। কাজের শুরুতে ডিজাইন নিয়ে নানা ধরনের কথা উঠলেও পাউবো কর্মকর্তাদের মতে সিডিউল অনুসারে কাজ হচ্ছে।

তবে গোমাতলীবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্থায়ী এ বেড়িবাঁধ কোন ত্রুটি ছাড়াই কাজের সমাপ্তি হবে এ আশা করছে সাধারণ জনগণ। কক্সবাজার পাউবো কর্মকর্তারা ঠিকাদার থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার আগে এসব ত্রুটি ঠিকঠাক করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ বৃহৎ এই প্রকল্পের স্থানীয় সাব ঠিকাদার মানিক চেয়ারম্যান নিম্নমানের বল্লি,বালি ব্যবহার করছেন বলে নানা ভাবে অভিযোগ উঠছে। তবে সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে পাউবো কর্মকর্তারা।

বাধেঁর তলদেশ দৈর্ঘ্য, উপরের প্রস্থ ও উচ্চতা যে নিয়মে করার কথা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম রয়েছে। ফলে বাঁধের নানাবিধ ক্ষতি হতে পারে বলে সাধারণ জনগণের আশংকা।

২০১৭ সালের শেষের দিকে কাজের আশিংক শুরু করে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত এই কাজের মেয়াদ রাখা হলেও সকল প্রক্রিয়া শেষে চলতি সালের জানুয়ারীর শেষ পর্যায়ে এসে কাজ শুরু করা হয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পাউবো কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, বেড়িবাঁধের কাজ যাতে সুষ্ঠু এবং সিডিউল অনুসারে হয় তার জন্য প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। তারপরেও যদি কোনরূপ সমস্যা হয় তা কাজ বুঝে নেওয়ার আগে যথাযথ সংস্কার করে বিল প্রদান করা হবে। তিনি বলেন পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজে অনেকটা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা যথাসময়ে কাজ শেষ করার। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, গোমাতলীর উপকূলীয় বেড়িবাঁধ যাতে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কোন ধরনের অনিয়ম করা হলে তা কোন অবস্থাই মেনে নেওয়া হবে না।