বাংলাট্রিবিউন : সরকারকে জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী এ দাবি তোলেন।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জের ধরে তাহজীব আলম বলেন, ‘‘অতিকথন দোষে দুষ্ট আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর অতি বিতর্কিত মন্তব্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। পত্রপত্রিকায় দেখেছি মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আপনারা সহনীয় পর্যায় ঘুষ খাবেন। ঘুষ খেতে না বলার নৈতিক সাহস আমার নেই। কারণ আমি ঘুষ খাই, মন্ত্রীরা ঘুষ খায়।’ এই বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য মন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তাকে অবশ্যই সংসদে দাঁড়িয়ে তার মন্তব্যের জন্য ব্যাখ্যা দিতে হবে। সত্যিই তিনি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হলে জনগণের কাছে সরকারকে বিতর্কিত না করে, ওনার উচিত নিজের পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া। কারণ, একটি সফল ও সার্থক সরকারের ভাবমূর্তি কোনও দায়িত্বহীন ব্যক্তির লাগামহীন বক্তব্যে ভুলণ্ঠিত হতে পারে না। ’’
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর ভাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘এলাকায় গেলে আইন-শৃঙ্খলার বৈঠকে প্রথমে ওঠে ইয়াবা নিয়ে। স্কুলে-স্কুলে ইয়াবা ছেয়ে যাচ্ছে। মাদকের মাধ্যমে আমরা একটি প্রজন্মকে শেষ করে দিচ্ছি। জঙ্গিবাদের থেকেও ভয়াবহ হচ্ছে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা আমার জানার বিষয় নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দাবি করবো।’

মাদক ব্যবসায়ীদের প্রকারান্তরে হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নজিবুল বশর ভাইজভাণ্ডারী,তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান। যদি সরকারের কাছে তথ্য থাকে যে, আমি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাহলে আমাকে হত্যা করুন। আমাকে হত্যা করে হলেও দেশটাকে বাঁচান। দেশ ছেয়ে যাচ্ছে মাদকে। দেশটাকে বাঁচান।’

এছাড়া,সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন তার বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেন।