হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

সেন্টমার্টিনদ্বীপে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনদ্বীপের অদুরে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির এঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ৪ জন মাঝি-মাল্লা ছিল। দুর্ঘটনার পর সেন্টমার্টিনদ্বীপের ৫টি ট্রলার শক্তিশালী টর্চ লাইট নিয়ে দীর্ঘ ২ ঘন্টা সাগরে অনুসন্ধান চালিয়ে ভাসমান অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে। সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সেন্টমার্টিনদ্বীপ কুনাপাড়া গ্রামের মৃত মোঃ হোছনের পুত্র হাফিজুল্লাহ’র মালিকানাধীন একটি ট্রলার সোমবার ৮ জানুয়ারী বিকালে টেকনাফ থেকে লাকড়ী ও অন্যান্য মালামাল বোঝাই করে ৪ জন মাঝি-মাল্লাসহ সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বাতাসের কারণে সাগর খুবই উত্তাল ছিল। তাছাড়া ট্রলারটিতে লাকড়িসহ অন্যান্য মালামাল বেশী ছিল। ট্রলারটি সেন্টমার্টিনদ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছে প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে যায়। এসময় রাতের অন্ধকারে পাশ্ববর্তী কেউ দেখতে পায়নি। সামান্য সময়ের ব্যবধানে আরও একটি মালামাল বোঝাই ট্রলার টেকনাফ থেকে ছেড়ে গিয়ে সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌঁছলেও লাকড়ি বোঝাই ট্রলারটি না পৌঁছা এবং ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লাদের মোবাইল ফোনগুলো বন্দ থাকায় অনুসন্ধান শুরু হয়। দীর্ঘ ২ ঘন্টা সাগরে অনুসন্ধান চালিয়ে ভাসমান অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। কিন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এরা হলেন সেন্টমার্টিনদ্বীপ পূর্বপাড়া আমিন উল্লাহ প্রকাশ ছৈয়দু মাঝির পুত্র মাঝি ফয়াজুল ইসলাম (২৮), আবদুর রহমানের পুত্র আলমগীর (২২), মোঃ আলমের পুত্র বেলাল হোসেন (২৫), আবুল কালামের পুত্র নুরুল আলম (২৪)। এদেরকে উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনদ্বীপে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।