আব্দুল আলীম নোবেল
কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক নালা দখলবাজ চক্র প্রতিনিয়ত বেপরোয়া হয়ে ওঠছে। বিভিন্ন এলাকায় নালা দখল করে আসলেও কোনভাবে পেরে ওঠতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। ভূমিদ্যুসুরা পৌরসভার নাকের ডগায় দেওয়াল দিয়ে নালা দখল আছে অনেক দিন। এতে ওই এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি ও স্থানীয়দের বসবাসে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে দাবী ভোক্তভোগিদের।
কক্সবাজার শহরের কানাইয়াবাজার সদর খাদ্যগুদাম সংলগ্ন নালাটি একটি ভূমিদ্যুসু কর্তৃক কয়েক মাস আগে পনি চলার চলের নালার উপর একটি দেওয়াল তৈরি করে। এর পর থেকে নালাতে নানা ধরণের ময়লা আর্বজনা এসে ভরে যায়। ময়লা আর্বজনার দূর্গন্ধে ওই এলাকার আশে পাশে কয়েক শতাধিক বাড়ি ঘরে বসবাস অনেকটা দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভা বড় অংকের বাজেট নিয়ে নালা সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে। আসলে পৌর কর্তৃপক্ষের এমন উগ্যোগ কতটা কার্যকর হবে। তারা নালা সংস্কারে এর আগেও অনেকবার নালা সংস্কারের অভিযান চালিয়েছে পৌরসভা। লোক দেখানো নালা সংস্কার হলেও হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো এই শহরে নালা আরো ভরাট হয়েছে। পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনের পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ না করলে এই শহরে কোনভাবে নালা নর্দমা সংস্কার হবে না। নালা ভরাট হওয়ায় নালার আশে পাশে থাকা সাধারণ জনগণের বসবাস করা চরম কঠিন হয়ে ওঠছে। বিশেষ করে কানাইয়াবাজার বিমান বন্দরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকার নালাটি ভরাট হওয়ার কারণে স্থানীয়দের জীবন যাপনে চরম ব্যাঘাত হচ্ছে।
শহরের কানাইয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জানান, একটি ভূমিদুস্যু চক্র গত কয়েক মাসে এই এলাকার নালার উপর একটি দেওয়াল তৈরি করেছে। এতে নানা ধরণের ময়লা আর্বজনা এসে নালাটি ভরাট হয়ে যায়। পঁচা দূর্গন্ধে মানুষ বসবাস করা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পৌরসভাও সংশিষ্ট প্রশাসন দেওয়ালটি ভেঙ্গে দিলে নালার পানি চলাচল স্বাভিক হবে। এতে ওই এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও নিস্থার পাবে। পৌর মেয়র মাবুবুর রহমান চৌধুরী এই নালাটি সংস্কারের বিষয়ে গতকয়েক মাসে আগে সরিজমিনে ঘুরে এসে নালাটির দেওয়া ভেঙ্গে দেবে বলে আস্থস্ত করে আসেন। এর পর থেকে এখনও নালাটি সংস্কার হয়নি। নালা ভরাট হয়ে পঁচা দূর্গন্ধে এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী শিশুসহ সাধরণ মানুষ বসবাস চরম অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। পৌর মেয়রকে এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার বলার পরেও কোন কাজের কাজ হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।