শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

 

রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়ন থেকে অপহৃত যুবক আবদুল খালেকের সন্ধান ও উদ্ধার ৩০ ঘন্টা পরও পাওয়া যায়নি। অপহরণকারীরা তার মুঠোফোন থেকে স্বজনদের কাছে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে। ৩০ ঘন্টা পরও রামু থানা পুলিশ অভিযান কিংবা সন্ধানে মাঠে নামেননি। এদিকে তার দরিদ্র পরিবার চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় রয়েছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের পুর্বে জুইল্লার জোম এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত যুবক স্থানীয় কাহাতিয়া পাড়ার মৃত ছুরুত আলমের পুত্র আবদুল খালেক (২২) বলে জানা গেছে।এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, অপহৃত খালেক তার চাচা জাফর আলমের খামারের মহিষ চারন করতে যায় জুইল্লার জোম এলাকায়। এ সময় মুখোশ পরিহিত ৬/৭ জনের অপহরনকারী দল তাকে ধরে জঙ্গলে নিয়ে যায়।পরে তার স্বজনদের কাছে কল করে অপহরনের বিষয়টি জানালে এলাকায় চাউর হয়।ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরপরই তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে পরিবারের কাছে ফোন করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পরও থানা পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে।ঘটনার ৩০ ঘন্টা পার হলেও কোন ধরণের অভিযান  দেখেননি বলে এলাকার আবদুর রহিম, আবদু শুক্কুরসহ অনেকেই জানান।

এ ব্যাপারে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম লিয়াকত আলীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য,গত জুমাবার পাশ্ববর্তী ঈদগাঁও কালির ছড়া গিরিঞ্জি পাহাড় এলাকায় গুলি বর্ষন করে দুই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়।এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে ঈদগাঁও, রশিদ নগর ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দাদের মাঝে অপহরন আতংক বিরাজ করছে।