ইমাম খাইর, সিবিএন:

প্রাথমিকে পাসের হার ৯৭.৮৬, ইবতেদায়িতে ৯২.৯৪ শতাংশ
জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৯০
জেএসসিতে পাসের হার ৮৪.৭৯ শতাংশ

জিপিএ-৫:
সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ১৮৬
সরকারী বালক উচ্চবিদ্যালয় ১২২
বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী ৭৫

কক্সবাজার জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪৫৬ শিক্ষার্থী। ৪৪ হাজার ৪৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৩ হাজার ১১৭ জন। অকৃতর্কায হয়েছে ৯২৬ জন।

ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জিপি এ-৫ পেয়েছে ২৩৪ জন শিক্ষার্থী। মোট ১০ হাজার ৮৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১০ হাজার ৪৬১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯৮ জন।

অন্যদিকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় জেলায় পাসের হার কমেছে ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। একই সাথে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও কমেছে। জেএসসিতে ২৬ হাজার ৬৩৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২২ হাজার ১৮৩ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২৮০ জন।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হার উভয়েই কমেছে। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী গত ১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গত ১ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ১৭ নভেম্বর। তবে, চারটি শ্রেনীর ফল প্রকাশ হয় একই দিন।

জেলায় পিএসসিতে শতভাগ ফলাফলকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী, কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাইস্কুল, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাবাজার আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, ইসলামপুর আইডিয়াল পাবলিক স্কুল। বিশেষ করে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর ৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন। পাসের হার শতভাগ। কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর নতুন অফিসে নব প্রতিষ্ঠিত আইডিয়াল পাবলিক স্কুল থেকে প্রথম বারেই ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের পাসের হাত শতভাগ। বাংলাবাজার আইডিয়াল ইনস্টিটিউটে ২৫ জনের মধ্যে ২ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাস করেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.শহিদুল আজম বলেন, এবারের পিএসসিতে পাসের দিক দিয়ে জেলার শীর্ষে রয়েছে পেকুয়া। সবচেয়ে পিছিয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা। জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মত শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে সদর উপজেলা। সদরে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫৭ জন। ইবতেদায়ী পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপি এ ৫ শীর্ষে রয়েছে চকরিয়া উপজেলা। এ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৭ জন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণে জানা যায়, ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৯ হাজার ১১৪ জন ছাত্রের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৮ হাজার ৭১৩। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৮৭। সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩৯ জন। মোট ২৪ হাজার ৯২৯ জন ছাত্রী অংশগ্রহন করলেও উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ হাজার ৪০৪ জন। তাদের পাশের হার ৯৭ দশমিদ ৮৫। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩১৭ জন। ৯৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ পাসের হারে পেকুয়া উপজেলা জেলার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এই উপজেলার ১৮১৯ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৮০৭ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৩১। ২৩৪৮ জন ছাত্রীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩৮০ জন। তাদের পাশের হার ৯৯ দশমিক ৮৩। এই উপজেলার ৭১ জন ছাত্র এবং ৯৩ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে।

পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে টেকনাফ উপজেলা। এ উপজেলায় ১৯২৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১৯০৯। পাশের হার ৯৯.১৮। ছাত্রীর মধ্যে ২৩০৫ জনে পাশ করেছে ২২৯০ জন। পাশের হার ৯৯.৩২। ওই উপজেলার ৯৩ জন ছাত্র এবং ৭৮ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহেশখালি উপজেলা। ওই উপজেলার ২৫১০ জন ছাত্রের ২৪৭৩ জন পাস করেছে। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৮.৪৪। এছাড়া ৩৫৫৮ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৩৫১৭ জন। পাশের হার ৯৮.৮১। ওই উপজেলার ১৫০ জন ছাত্র এবং ২১১ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। এরপরের স্থানেই রয়েছে উখিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ২০২০ জন ছাত্রের মধ্যে পাশ করেছে ১৯৬৯ জন। পাসের ৯৭ দশমিক ৩৫। অন্যদিকে ২৬২০ জন ছাত্রীর পাস করেছে ২৫৫৯ জন। পাসের হার ৯৭.৬। এই উপজেলার ৫৪ জন ছাত্র ও ৬৮ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে।তারপরের স্থানে রয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার। জেলা সদরটি এবারের পিএসসিতে পিছিয়ে পড়েছে। এই উপজেলার ৩৩০৯ জন ছাত্রের পাস করেছে ৩২২৭ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪। অন্যদিকে ৪০২৪ জন ছাত্রীর পাস করেছে ৩৯০৩ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫। এতে ৩০৫ জন ছাত্র এবং ৩৫২ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। এরপরের স্থানেই রয়েছে চকরিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ৩৮৩৮ জন ছাত্রের পাস করেছে ৩৭৩৪ জন। পাশের হার ৯৭.১৮। এতে ৫০৪৫ জন ছাত্রীর পাস করেছে ৪৯১৩ জন। পাসের হার ৯৭.৩২।ওই উপজেলার ২২০ জন ছাত্র ও ২৬২ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। পিএসিস পিছিয়েছে রামু উপজেলা। এখানকার ২২৫৩ জন ছাত্রের পাশ করেছে ২১৯৩ জন। সেই হিসেবে পাশের হার ৯৭.০৫। ৩১১৬ ছাত্রীর পাশ করেছে ৩০৩৬।পাশের হার ৯৭.২৯।এতে ৯৫জন ছাত্র এবং ১৪১ জন জিপি এ ৫ পেয়েছে। এবারের পিএএসসি পরীক্ষায় জেলার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে কুতুবদিয়া। সেখানকার ১৪১৪ জন ছাত্রের পাশ করেছে ১৪০১জন। পাশের হার ৯৭.০২। অন্যদিকে ১৮৭৭ জন ছাত্রীর মধ্যে পাশ করেছে ১৮০৬জন। পাশের হার ৯৬.১০। এতে ১৫১জন ছাত্র এবং ১১২ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে।

কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন) সম্পাদক ও কক্সবাজার সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরী ও সালেহা আক্তার নিঝুমের মেঝ মেয়ে আরিয়া চৌধুরী আরিশা ২০১৭ সালের পিএসসি (পিইসি) পরীক্ষায় কক্সবাজার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে।

অপরদিকে ইবতেদায়ী পরীক্ষায় জেলায় ১০ হাজার ৮৫৯ জনে পাস করেছে ১০ হাজার ৪৬১ জন। তন্মধ্যে ৪২১৭ জন ছাত্রের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৪ হাজার ৭৪ জন। পাশের হার ৯৬.৪। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৫ জন। ৬৬৪২ জন ছাত্রীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৩৮৭। তাদের পাসের হার ৯৫.৮৪। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন।

এবতেদায়িতে পাসের হারে চকরিয়া উপজেলা কক্সবাজার জেলার শীর্ষে অবস্থান করছে। এই উপজেলার ৮৫৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৮২৭ জন। পাসের হার ৯৭.৮৭। ১৩৯৮ জন ছাত্রীর উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩৬৭ জন। তাদের পাশের হার ৯৭.৭৮।ওই উপজেলার ২৮ জন ছাত্র এবং ৫৯ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে।পাশের হারে কক্সবাজার সদর উপজেলার অবস্থান দ্বিতীয়। ১০৩১ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১০০৩। পাশের হার ৯৭.২। ছাত্রীর মধ্যে ১৬৩১ জনে পাশ করেছে ১৫৭৮ জন। পাশের হার ৯৬.৭৫। ওই উপজেলার ২৫ জন ছাত্র এবং ৪২ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পেকুয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ৪৫৮ জন ছাত্রের ৪৪৫ জন পাশ করেছে। সেই হিসেবে পাশের হার ৯৭.১৬। এছাড়া ৬২০ জন ছাত্রীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৯৭ জন। পাশের হার ৯৬.২৯।ওই উপজেলার ৮ জন ছাত্র এবং ৪ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। এরপরের স্থানেই রয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ১৮৫ জন ছাত্রের মধ্যে পাশ করেছে ১৮১ জন। পাশের ৯৭.৮৪। অন্যদিকে ৩১৫ জন ছাত্রীর পাশ করেছে ৩০২ জন। পাশের হার ৯৫.৮৭। এই উপজেলার ৬ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রামু উপজেলা।এই উপজেলার ৩৫০ জন ছাত্রের পাশ করেছে ৩৩৬ জন। পাশের হার ৯৬। অন্যদিকে ৫৮১ জন ছাত্রীর পাশ করেছে ৫৫৭ জন। পাশের হার ৯৫.১৭। এতে ৫ জন ছাত্র এবং ১২ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। এরপরের স্থানেই রয়েছে উখিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ৪৮৪ জন ছাত্রের পাস করেছে ৪৬৩ জন। পাশের হার ৯৫.৬৬। এতে ৭২৪ জন ছাত্রীর পাস করেছে৬৯৪ জন। পাশের হার ৯৫.৮৬।ওই উপজেলার ৫ জন ছাত্র ও ৪ জন ছাত্রী জিপি এ ৫ পেয়েছে। ইবতেদায়ীতে পিছিয়েছে মহেশখালী উপজেলা। এখানকার ৫১২ জন ছাত্রের পাস করেছে ৪৮৭ জন। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৫.১২। ৯২৮ ছাত্রীর পাশ করেছে ৮৭২। পাসের হার ৯৪। এতে ১২ জন ছাত্র এবং ১৭ জন জিপি এ ৫ পেয়েছে। এবারের পিএএসসি পরীক্ষায় জেলার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে টেকনাফ। সেখানকার ৩৫২ জন ছাত্রের পাস করেছে ৩৩২জন। পাসের হার ৯৪.৩২। অন্যদিকে ৪৪৫ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৪২০ জন। পাসের হার ৯৪.৩৮। এতে ৩ জন ছাত্র এবং ৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় বরাবরের মতোই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সার্বিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তাদের পাসের হার ৯৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৬ জন। পরীক্ষার্থী ছিল ২৭১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৭০ জন। কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২২ জন। পরীক্ষার্থী ছিল ২৪৮ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪৬ জন।

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর পাসের হার ৯৭ শতাংশ। তাদের ৪৪৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩১ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫ জন। অন্যদিকে, শহরের সব সুযোগ সুবিধা না পেলেও জেএসসিতে ঈর্ষণীয় ফল করেছে বাংলাবাজার আইডিয়াল ইনস্টিটিউট। তাদের ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জন জিপিএ-৫সহ পাসের হার শতভাগ।

শনিবার বেলা ১২টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। দুপুর ২টায় সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিভাবে ফল প্রকাশ করেন।

সার্বিক ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেলায় পাসের হারের দিক থেকে মেয়েদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। ছেলেদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮৫ জনই মেয়ে। বাকি ৫৯৫ জন ছেলে।

জেএসসিতে জেলায় শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, টেকনাফ বর্ডার গার্ড স্কুল, উখিয়ার গোয়ালিয়াপালং মডেল হাইস্কুল, কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, ভারুয়াখালীর দীপশিখা গার্লস একাডেমী। মহেশখালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ জন। তাদের সকলে উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। টেকনাফ বর্ডার গার্ড স্কুলে ৫১ জন পরীক্ষার্থীর সকলে পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। উখিয়ার গোয়ালিয়াপালং মডেল হাইস্কুলে ৪৮, বাংলাবাজার আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের ৪৭ এবং দীপশিখা গার্লস একাডেমীর ১২ পরীক্ষার্থীর সকলেই পাস করেছে।