বিশেষ প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া গ্রামের ৩ কিলোমিটার পুর্বে মোমভিলা নামক স্থান হতে ফাঁকা গুলি বর্ষন করে একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অপহৃতকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নাই তবে পুলিশের অভিযান চলছিল।

২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৬ দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের কালিরছড়া এলাকার মোমবিলা পাহাড়ে।অপহৃত আমানুল্লাহ (৫৮) পার্শ্ববর্তী মাছুয়া খালী এলাকার মৃত শের আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অপহৃত ব্যক্তি সকালে ক্ষেত ও প্লট পাহারা দেওয়ার সময় ৫/৬ জনের অপহরকারীদল উপুর্যপুরী গুলি বর্ষন করে তাকে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে যায়।অপহরন চক্রের সদস্যরা পরে তার মুঠোফোন থেকে মাছুয়াখালী বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে জানান যে, আমানুল্লাহকে অপহরন করে নিয়ে আসা হয়েছে।

স্থানীয় মেম্বার কামাল উদ্দীন জানান, অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সেটা এখন ও নিদ্রিষ্ট করা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বন জায়গীরদার জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ অপহরনকারীরা পাহাড়ে অবস্থান করছে।ইদগড়-বাইশারী রোড ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত রয়েছে।এমনকি গত কিছুদিন আগে তারা রামু থানাধীন পানিরছড়া গ্রামের পুর্ব হামিরপাড়া পাহাড়ী এলাকায় একাধিক বাড়ীঘর ডাকাতি করেছে,২টি মহিষ জোরপুর্বক জবাই করে নিয়ে গেছে ১ মাস আগে।তারপর ও রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

স্থানীয় মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনার জানান, এখন ও অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নাই।মোবাইল ফোনে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসুফ ফকির জানান,পুরাতন দাগী আসামীরা কোর্ট থেকে জামিনে এসে আবার অপকর্ম শুরু করে।বর্তমানে ২০০ একর জমি পাহাড়ী এলাকায় আবাদ করা যাচ্ছেনা অপহরনকারী চক্রের ভয়ে।বর্তমানে কাঠুরিয়াদের পরিবার সমুহ অনাহারে দিনাতিপাত করছে।

স্থানীয় বনকর্মীসহ,ব্যবসায়ী ও কাঠুরিয়াদের সাথে আলাপ করে জানাযায়,রামু থানাধীন নতুনবাজার পাহাড়তলী,কাহাতীয়াপাড়া,বেংদেভা,সদর থানাধীন ভারুয়াখালী,কালিরছড়া,নাইক্ষংছড়ি থানাধীন বাইশারী হলদিয়াশিয়া এলাকার কিছু চিহ্নিত দাগী সন্ত্রাসী জেল থেকে জামিন নিয়ে এসে আবার ডাকাতি,অপহরন ও চাদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে।