শাহেদ মিজান, সিবিএন:
মহেশখালীতে বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিমানের ধসে পড়া অংশে আঘাত পেয়ে আঁখি (১৫) ও ফয়সাল (১২) নামের দুই শিশু আহত হয়েছে। অক্ষত উদ্ধার করা হয়েছে চার পাইলটকে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, একটি বিমান ওই এলাকার জনৈক আব্দুস সাত্তারের বাড়ির উপর অংশ উড়িয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় দুই শিশু আহত হয়েছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
তিনি আরো বলেন, “দুই জায়গায় এরকম বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন জ্বলার খবর আমরা পেয়েছি। এক বিমানের দুটো টুকরো থেকে এমন হয়েছে নাকি দুটো বিমান পড়েছে- তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।”
কক্সবাজার বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, মহেশখালীর পুটিবিলায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিধ্বস্থ হওয়ার খবর তিনিও পেয়েছেন। এটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কক্সবাজার ঘাটির অধিনায়ক এম ইউসুফ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিমান দুটিতে চার জন পাইলট রয়েছে। দূর্ঘটনার পরপরই তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা অক্ষত রয়েছেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুইটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। পরে তা মহেশখালি উপজেলার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বিধ্বস্ত হয়।
আইএসপিআর-এরসহকারী পরিচালক (বিমান বাহিনী ডেস্ক) নূর ইসলাম জানান, দু’টি প্রশিক্ষণ বিমান (YAK-130) বিধ্বস্ত হয়। বিমান দু’টিতে চারজন ছিলেন। তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগ থেকে বিমান দু’টি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল বলে জানান নূর ইসলাম।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণ বিমান দু’টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম থেকে উড্ডয়ন করে। পৌনে ৭টার দিকে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় দু’টি বিমানের বিধ্বস্ত অংশ আঁচড়ে পড়ে। এতে স্থানীয় আঁখি ও ফয়সাল নামে দু’জন আহত হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।