শাহেদ মিজান, সিবিএন:
গত দশ বছরে ৪০ শতাংশ মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। পরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পরিবার-পরিকল্পনা কার্যালয় কর্তৃক পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক এডভোকেসী সভা ও সংবাদ সম্মেলনের এই তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সদর- রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মহিউদ্দীন আলমগীর, পিটিআই সুপারিন্টেডেন্ট কামরুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পিন্টু কান্তি ভট্টচার্য্য। আরো বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছেরাজ আহমেদ, এফপিআইবির কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
সভায় আরো জানানো হয়, মাতৃস্বাাস্থ্যের উন্নয়ন ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে সরকার অত্যন্ত অগ্রাধিকার দিয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১০৫- এ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মে) কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুও হার ৭০-এ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জরিপ মতে, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের পরপরই মা-কে যদি প্রসব পরবর্তী পরিবার-পরিকল্পনার আওতায় আনা যায় এবং কমপক্ষে ৩ বছর সন্তান নেয়ার জন্য পরিকল্পনার একটি উপযুক্ত পদ্ধতি প্রদান করা যায় তাহলে একদিকে যেমন অনিচ্ছাকৃত ও পুনরায় গর্ভধারণ এড়ানো সম্ভব। তেমনিভাবে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব। সেইসাথে পরিবার পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী পদ্ধতিও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।