সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ

স্মরণিকা প্রকাশ, শোভাযাত্রা, প্রীতিভোজ, সঙ্গীত ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে কক্সবাজার জেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি.এম. চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর তথা সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান। গত ৬ মাসেরও অধিক সময় ধরে এ কর্মসূচির প্রস্তুতি চলে। ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় শোভাযাত্র। বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি বি.এম. চর সদর প্রদক্ষিণ করে।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা তথা স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন- সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম. জিয়াউদ্দিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- বি.এম.চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ কৃতি শিক্ষার্থী ও ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন- বাঙ্গালী জাতীর সত্তার কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- বাঙ্গালী জাতীর বিজয়ের মাসে এ ধরণের আয়োজন, সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। কারণ ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী জন যুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতির বিজয় সূচীত হয়েছিল বলেই আজ কেউ জজ এবং কেউ কবি। তিনি বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে মনে-প্রাণে বিজযের ইতিহাস রপ্ত করার পরামর্শ দেন।

প্রধান আালোচক তাঁর বক্তব্যে বলেন- মানবতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম। যে নিরিখে প্রতিটি মানুষকে পূর্ণমাত্রায় মানবিক হয়ে সমাজকে গড়ে তুলতে হবে জ্ঞানময় করে। সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্্যাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান এডভোকেট এম. লুৎফুল কবির, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, পুর্ব বড় ভেওলা ই.পি. চেয়ারম্যান আনোরুল আরিফ চৌধুরী দুলাল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক অধ্যাপক হারুন সরোয়ার বাদল, বি.এম. চর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহামদ সিকদার, বি.এম. চর. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহাং, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, সাহারবিল বি.এম. এস. উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম প্রমুখ প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দ স্মুতিচারণ মুলক এবং চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কে.এম. নাছির উদ্দিন ও নির্বাহী সদস্য এ.এম. হানিফ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।