এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন:
হরিণটির বয়স আনুমানিক চার বছর। ওজন ১৩ থেকে ১৫ কেজি। লাল বর্ণের বিরল প্রজাতির এ হরিণটি ভুরিভোজনের জন্য ৫/৬ জনের একটি চক্র কক্সবাজারের পর্যটন স্পট দরিয়ানগর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু খবরটি পেয়ে ছুটে যান পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব। বেরসিক এ পরিবেশ কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে হরিণটি সৈকতে ফেলে পালিয়ে যান সবাই। ততক্ষণে সুন্দর এ হরিণটির একটি পা ভেঙ্গে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব জানান, ‘স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই এলাকায় ছুটে গিয়ে দেখলাম আহত হরিণটি সৈকতে বসে আছে। উপস্থিত লোকজনের সহযোগীতায় হরিণটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।’
পরিবেশের এ কর্মকর্তা বলেন,‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী হরিণ জবাই করা কিংবা আটকিয়ে রাখা আইনগত অপরাধ। তাই এ হরিণটি আসলে কেউ নিয়ে আসছে কিনা নাকি বন থেকে পালিয়ে আসছে তা খোজ-খবর নেয়া হচ্ছে। যদি কেউ জবাই করার জন্য নিয়ে আসার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দেওয়ান মো: আব্দুল হাই আজাদ বলেন,‘পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাওয়ারর পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হরিণটি চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।