শাহেদ মিজান, সিবিএন
কাবিনামা চেয়ে পর্যটক দম্পতিকে নাজেহালের অভিযোগে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁকে প্রত্যাহার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের  চট্টগ্রাম বিভাগে  সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে অভিযোগের তদন্তে দু’ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্য প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে অভিযোগের তদন্তের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমীকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ্প্রকাশ করা হবে।

রায়হান কাজেমী বলেন, ‘তদন্তে এএসআই মাসুদের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্ত সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনা সত্যি হলে তাকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের কাছে পর্যটকদের স্বার্থ সবার আগে।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের সেবায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আমরা চাই আগত পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজার ভ্রমনে করে নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন।’

বিয়ের উপযুক্ত প্রমাণ ও কাবিনামা দেখাতে না পারায় গত রোববার এক দম্পতিকে দীর্ঘক্ষণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আটকে রাখে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি দল। এই সময় ওই দম্পতিকে চরমভাবে নাজেহাল করা হয়। পরে আত্মীয়স্বজন ডেকে এনে নিজেদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের প্রমাণ দেখিয়ে রেহাই পান ওই দম্পতি। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি মো. কায়দে আজম।

টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী বলেন, ট্যুরিস্ট ‍ পুলিমের ধ্যান-জ্ঞানজুড়ে শুধুই পর্যটক সেবা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সৈকতে পর্যটকদের সেবায় নানা ধরণের কার্যক্রম চলছে। সমুদ্র সৈকতকে ছিনতাইকারী মুক্ত করা, পর্যটকের হারানো মোবাইল উদ্ধার, মুল্যবান অলংকার ও দ্রব্যাদি উদ্ধার, হকার মুক্ত করা, সৈকতের কিটকট, বিচবাইক, জেড স্কি’র ভাড়া নির্ধারণ, সৈকতের মার্কেটগুলোতে চলাফেরার জন্য রাস্তা দখলমুক্ত করা, সৈকতের ৩টি পয়েন্টে মাইকিং, সেবামূলক লিফলেট বিতরণ, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য ওয়াকওয়ে তৈরি এবং প্রতিটি হোটেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের পর্যটকদের জন্য সেবামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ওয়াকওয়ে তৈরি, হিমছড়ি, ইনানী ও টেকনাফ বিচে মাইকিং করা হবে।