এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রবেশধারে এবারও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে গতকাল ১৮ ডিসেম্বর সকালে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি জামাল হোছাইনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ কামাল হোসেন চেয়ারম্যান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, বাবু এমআর চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি জামাল হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল এহেছান চৌধুরী সাইফুল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনছুর আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আমির উদ্দিন বুলবুল, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ এহেছান, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি আবুল কালাম সুনা মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠিতব্য মেলায় ইতোমধ্যে সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগরদোলা, খাবার হোটেল, লাটারীসহ অর্ধ শতাধিক ভাসমান দোকান ঘর নির্মান করা হয়েছে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী একটি রাজনৈতিক দল। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হচ্ছে বাঙ্গালি জাতির এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া এই দলটি যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন তখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটে। কিন্ত স্বাধীনতার পর পেছনের দরজায় ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানীদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও চেতনা মুছে ফেলতে বারবার অপচেষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, সম্ভাবনার বাংলাদেশকে পেছনের নিয়ে যেতে নানাভাবে বাঁধাগ্রস্থ করতে সেই পাকিস্তানীদের দোসররা নতুন প্রজন্মর সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে। যাতে জাতি ৭১ সালের সেই অর্জন ভুলে যেতে পারে। এখনো তাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে আছে। নতুনভাবে ডানা মেলেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা জনগনের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। তাঁর বিচক্ষনের নেতৃত্বে আইনের মাধ্যমে পাকিস্তানী সেই দোসরদের শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে জাতিকে ইতিহাসের কলঙ্কমুক্ত করতে পেরেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সঠিকপথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এগিয়ে যাবে। তাই আমাদেরকে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মোতাবেক আগামীতে ইতিহাস বিকৃতকারীদের দল ক্ষমতায় আসতে না পারে, জাতীয় পতাকা আবারও গাড়ির সামনে বসাতে না পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।