আবদুল মজিদ, চকরিয়া:

চকরিয়ায় জমি বিরোধের পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে স্কুল ও মাদরাসা ছাত্রীসহ ৩ বোনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে আশংখাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছে। ২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে ভূক্তভোগী পরিবারের আবদুল হামিদ নুরী (৩৮) বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামী করে এদিন থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে।

অভিযোগে বাদী আবদুল হামিদ নুরী জানিয়েছেন, তিনি পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়ার নিজ বাড়ি হতে শ^াশুর বাড়ি ভেওলা সিকদারপাড়ায় বেড়াতে গেলে জমি বিরোধে পূর্বথেকে উৎপেতে থাকা একই এলাকার প্রতিপক্ষের মৃত ঠান্ডা মিয়ার পুত্র জহির আহমদ, তার স্ত্রী সেতারা বেগম, মাসুক আহমদের পুত্র শহিদুল ইসলাম, আবুল কালামের স্ত্রী শাহান আরা বেগম, নাছির উদ্দিন প্রকাশ পুতুইক্যার স্ত্রী শাহজান বেগম, জহির আহমদের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার ও ভাড়াটিয়া আরো ৫/৬জন নিয়ে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র সহকারে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকালে বাদীর স্ত্রী তথা নুরুল কবিরের মেয়ে হুরে জন্নাত রুমি (২০), বাদীর শ্যালিকা পূর্ববড়ভেলা সিকদারপাড়া মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী নাসরিন সুলতানা বিউটি (১৭) ও শ্যালিকা চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মেহেদী নাসরিন মিশু (১৪)কে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারী সন্ত্রাসী বাহিনী ২ ভরি ৩ আনা ওজনের সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার লুট করে এবং বসতভীটায় ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। বর্তমানে আহতদের অবস্থা আশংখাজনক বলে জানাগেছে। অপরদিকে আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আহত রোগিদের উপর ফের হামলা চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এসময় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র নির্দেশে উপপরিদর্শক অপু বড়–য়ার নেতৃত্বে সংগীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১জনকে ধৃত করে পুলিশ।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পর হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।