বিশেষ প্রতিবেদক: কক্সবাজার পৌরসভার পৌর নির্বাচন ২০১৮ সালের মার্চ মাসে অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও ৩ মাস আগে থেকেই সর্বস্তরের স্থানীয় জনসাধারণ কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিমকে আগামী পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করে ইতিমধ্যে তাকে বিজয়ী করার কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় একাধিক তরুণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অবহেলিত কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ছাত্র ও যুব সমাজের প্রিয় মুখ মোরশেদ হোসেন তানিমের বিকল্প বর্তমান সময়ে তারা দেখছেন না। তাই পর্যটন শহর কক্সবাজারের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তারা এমনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আরো বলেন, কক্সবাজার সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি নান্দনিক স্থান। এ নান্দনিক পর্যটন শহরের রাস্তা ঘাটের বর্তমান চিত্র দেখলে স্থানীয় সচেতন মানুষ হিসাবে লজ্জায় মাথা তুলতে পারি না। এ লজ্জা থেকে নিজেদের বাঁচাতে আমরা এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশাকরি কক্সবাজারের সচেতন ও তরুণ প্রজন্মরা আমাদের এ সিদ্ধান্তের সাথে ঐক্যতা প্রকাশ করে তানিমকে আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করবেন।
জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বির্নিমাণে কক্সবাজারের রাজপথকে মুখরিত রেখে পিতা মুজিবের স্বপ্ন বাস্তব্যয়নে যিনি সীমাহীন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
স্কুলের ছাত্র থাকাকালিন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই অমর কবিতা “এবারের সাংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” শুনে নিজের অজান্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রেমে পড়ে যান উদিয়মান ছাত্রনেতা মোরশেদ হোসাইন তানিম। শুরু হয় ছাত্র রাজনীতিতে জীবনের নতুন অধ্যায়। ছাত্র রাজনীতিতে নিজের ত্যাগী ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করে নজর কাড়েন তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগ, আওয়মীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিত সাধারণ মানুষের।
কক্সবাজার ভোকেশনাল টেকনিক্যাল কলেজে খুব অল্প সময়ে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে মোকাবেলা করেছেন ১/১১ এর মত কঠিন সময়। ১/১১ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে অনেকের মত লুকিয়ে না থেকে রাজপথে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করেছেন পরিক্ষিত বঙ্গবন্ধুর এ সৈনিক মোরশেদ হোসাইন তানিম। তার উপহার হিসাবে পেয়েছেন কক্সবাজার ভোকেশনাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব।
দেশের যে কোন কঠিন সময়ে দেশ মাতৃকার টানে রাজপথে প্রথম সারিতে থেকে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। বিএনপি-জামাতের দুঃশাসন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা মামলা সহ নির্যাতিত হয়েছেন একাদিক বার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদশের্র প্রতি তার ভালবাসা, বিশ্বাস, সততা ও যোগ্যতা বিবেচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি মনোনিত হন ছাত্রনেতা মোরশেদ হোসাইন তানিম।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ¶মতায় আসার পর কক্সবাজার শহর শাখার ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের নিয়ে জেলা , বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ডের ঝড়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার শপথে কাজ শুরু করার পাশাপাশি সহযোগিতা করছেন সরকারি বিভিন্ন কাজে।যিনি কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে ১২টি ওয়ার্ডে শত শত নেতাকর্মী সৃষ্টি করেছেন।
নতুন প্রজম্মকে মুক্তিযোদ্বের সঠিক ইতিহাস ও হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঠিক আদর্শকে তরুন প্রজম্মের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সমৃদ্ব করছেন শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকাকে।
২০১৩ সালে পুন:রায় আওয়ামীলীগ সরকার ¶মতায় আসার পর শুরু হওয়া বিএনপি, জামাত ও শিবিরের জালাও-পোড়াও সহ যাবতীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিলো লৌহ মানবের মত। দেশের এই কঠিন সময়ে শহর ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথ দখলে রাখার স্মৃতি ও জামাত-শিবিরকে কক্সবাজার থেকে বিতাড়িত করা দৃশ্য প্রমাণ করে ছাত্রনেতা মোরশেদ হোসাইন তানিমই পৌর মেয়র হওয়ার একমাত্র যোগ্য দাবিদার।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় “মোরা”য় প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া ও তাদের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম সহকর্মী সহ কাঁধে খাবারের বস্তা নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া, প্রতিনিয়ত খোজ খবর নেওয়া ও নির্ঘুম রাত কাঠিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের পাশে থেকে দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আজাদের মতে, মোরশেদ হোসাইন তানিম জেলা ছাত্রলীগের পরিপূর্ণ একজন ছাত্রনেতা ও তার ভাল উদ্যোগ গুলো সারা জীবন তাকে ছাত্র সমাজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখবে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনো মেয়র নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখিনি। সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছাত্র সমাজের মাঝে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি । কক্সবাজারের স্থানীয় সকল পেশাজীবী মানুষ এবং বর্তমান নতুন ভোটার ও তরুণরা আমাকে অনেক বেশি স্নেহ করে ভালবাসে বলে আমাকে মেয়র বানানো স্বপ্ন দেখছেন তবে আমি এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি কারন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা চাইলে আমি অবশ্যই আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে কক্সবাজার পৌর সভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রুপান্তর করতে এবং উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।অাপনারা জানেন সারা দেশে এখন তরুণদের দিকে তাকিয়ে মানুষ।তরুণরা যদি বর্তমান প্রজন্মদের ও সমাজের দায়িত্ব না নেই তবে এই সমাজের পরিবর্তন অাসবে না ও উন্নয়ন সাধিত হবে না। পাশাপাশি যারা আমাকে কক্সবাজার পৌরসভায় মেয়র হিসাবে পেতে চায় তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।