হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফে ২ দিন ব্যাপী স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় টেকনাফ উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসুচী (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের রিপ্রেসার এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

জানা যায়, ২৯ নভেম্বর টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত স্বেচ্ছাসেবকদের রিপ্রেসার প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ছিলেন কক্সবাজার জেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসুচীর (সিপিপি) উপ-পরিচালক হাফেজ আহম্মদ, টেকনাফ উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসুচীর (সিপিপি) মোঃ আবু হানিফ ও আবদুল মতিন। এতে টেকনাফ সদরের ৩টি ইউনিটের (টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভা) ৩০ জন পুরুষ এবং ১৫ জন মহিলা স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন। এরা হলেন নুরুল হক, লাল মিয়া, মিনারা বেগম, আবদুল আজিজ, মঞ্জুর আলম, আনোয়ারা বেগম, শামসুল আলম, রেজাউল করিম, খদিজা বেগম, মোস্তাক আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, জাহেদা বেগম, মোঃ হোসেন, শফিক আহমদ, বুলবুল আক্তার, নুরুল আলম, জীবন বড়–য়া, উম্মে কুলসুম, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ ইউনুস, কলিমা বেগম, মোঃ ইলিয়াস, শব্বির আহমদ, হাসিনা বেগম, মোহাম্মদ উল্লাহ, শরবত আলী, হালিমা বেগম, ছৈয়দ আলম, জাফর আলম, নমিতা রাণী দাশ, মোঃ হোসেন, আবদুল আমিন, কুলসুম বেগম, লাল মিয়া, মোহাম্মদ, আয়েশা বেগম, নুরুল আলম দস্তগীর, আবদুল্লাহ, সাজেদা আক্তার মুন্নী, ইব্রাহীম, বশির আহমদ, অনিতা সেন, নুরুল আলম, মোঃ আমিন, সনজিদা বেগম, মোঃ জুবাইর।

টেকনাফ উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসুচীর (সিপিপি) মোঃ আবদুল মতিন জানান, টেকনাফ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবকদের ৬৬টি ইউনিট রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটে সংকেত, আশ্রয়, উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ এ ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ৯৯০ জনের মধ্যে ৬৬০ জন পুরুষ এবং ৩৩০ জন মহিলা। তম্মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ১১টি, হ্নীলা ইউনিয়নে ১১টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ১৫টি, সাবরাং ইউনিয়নে ১৬টি, বাহারছড়া ইউনিয়নে ৮টি, সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়নে ৫টি। ত্রৈমাসিক কোটায় সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্ব পালনরত স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের মান উন্নয়নে ২টি করে কেন্দ্রে রিপ্রেসার ট্রেনিং অব্যাহত রয়েছে।