ডেস্ক নিউজ:

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

এ সময় সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শহীদ মিনারে চলে আসেন তিনি। বেলা ১২টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘দিয়াজ হত্যার বিচার চাই’ শিরোনামে একটি ব্যানার ও কাফনের কাপড় পড়ে অনশন শুরু করেন দিয়াজের মা।

এ সময় তিনি সাংবাদিকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘দিয়াজের হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার চৌধুরী। অথচ খুনি শিক্ষককে প্রমোশন দেয়ার চেষ্টা চলছে। পিএইচডি ডিগ্রী দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। খুনের আসামিরা শিক্ষক হতে পারে না।’

জাহেদা আমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাটি নিয়ে শপথ করে আসছি। এখান থেকে আমার মরা লাশ নিতে হবে। কাফনের কাপড়ে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আসামিরা গ্রেফতার না হয় এখান থেকে সরবো না আমি। যদি এখান থেকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে চলে যাব। রাজপথে হাঁটবো। আমাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলুক, না হয় আমার ছেলের আসামিদের গ্রেফতার করা হোক।’

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ২৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ (সি আর মামলা) দেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।

তবে এক বছর পেরুলেও গ্রেফতার হয়নি কোনও আসামি। দিয়াজের মায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। আসামি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার চৌধুরীকেও। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিশান, যুগ্ম সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম, সহ-সভাপতি আবদুল মালেক,সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান,আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ-সম্পাদক আরেফুল হক অপুও হন আসামি। আসামিরা সবাই চট্টগ্রামের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দিয়াজও ছিলেন নাছিরেরই অনুসারী।