বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কক্সবাজার জেলা শাখার নতুন কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্যকারি দল থেকে বহিস্কৃত মহেশখালীর আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদের কর্মকান্ডকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে মন্তব্য করেছে মহেশখালী উপজেলা যুবদল। ওই শাখার সভাপতি মোস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত আলমগীর ফরিদ এখনও নিজেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দাবি করে নিজের বালখিল্যতা প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আলমগীর ফরিদের বিরূপ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিতে তারা বলেন, আলমগীর ফরিদই ‘পথভ্রষ্ট’, ‘চির বেঈমান’ ও ‘সুযোগ সন্ধানী বহুরূপী’। এই ব্যক্তিই আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে বিএনপির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তাদের মতে, আলমগীর ফরিদের ভায়রা আবদুর রহমান বদি উখিয়া-টেকনাফে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আর তাঁর অপন ভাতিজা আশেক উল্লাহ রফিক মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য। মূলতঃ তিনিই তার চারপাশে আওয়ামী লীগ বেষ্টিত হয়ে তাদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে চলেছেন।
এই দুই নেতা জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে আলমগীর ফরিদকে বিএনপির সবধরণের পদ-পদবি থেকে বহিস্কার করা হয়। অদ্যাবধি সেই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। অথচ এই ‘পাগল’ নিজের পাগলামি প্রকাশ করে এখনও নির্লজ্জের মতো নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে চলেছেন। এটিকে পাগলের প্রলাপ ছাড়া অন্যকিছু বলার সুযোগ নেই।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলমগীর ফরিদের তথাকথিত ‘মিষ্টি বিতরণ’ অনুষ্টানে উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আনচার উল্লাহর সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান জুয়েলের সঞ্চালনায় যে সভার কথা বলা হয়েছে সেই আনচার উল্লাহ ও তারেক রহমান জুয়েলও যুবদল ও ছাত্রদলের কেউ নন।
মহেশখালী যুবদলের এই দুই নেতা মনে করেন, আলমগীর ফরিদকে বিএনপির নেতা-কর্মী দাবি করতে হলে আগে দলীয় বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। অথচ সেই কাজটি না করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বিষোদগার করা তাঁর নৈতিক স্থলনেরই পরিচয় বহন করে।
তারা আলমগীর ফরিদকে এই ধরণের ‘ছোট ছেলে’ সুলভ আচরণ না করারও অনুরোধ জানান।