হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

রোহিঙ্গারা আসতে না আসতেই কম দামে শ্রমে নেমে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৪ নভেম্বর বিকালে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে অর্ধ শতাধিক রোহিঙ্গা মাটির কাজ করে ক্যাম্পে ফিরতে গাড়িতে উঠার প্রস্ততি নিচ্ছে। এরা সকলেই এসেছিল রোহিঙ্গা হোছন মাঝির নেতৃত্বে মাটি কাটার জন্য।

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২৪ নভেম্বর অর্ধ শতাধিক রোহিঙ্গা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় এসে মাটি কাটার কাজ করে ফিরে যাওয়ার সময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোঃ রফিক, কাঁকড়া ব্যবসায়ী জাফর আলম ও ইউনুস তাদের জড়ো করে রেখে সংবাদকর্মীদের খবর দেন।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মকতুল হোছনের পুত্র খলিল (৫৪), ইমাম হোছনের পুত্র আবদুচ্ছালাম (২৫), সুনা মিয়ার পুত্র জিয়াবুল হক (২৭), উলা মিয়ার পুত্র হোছন আহমদ (১৯), নুরুল বশরের পুত্র আবুল কালাম (২২). হোছন আহমদের পুত্র আমির হোছন মাঝি (৩০), মোঃ রফিকের পুত্র শাহ কামাল (২৪), মোঃ রশিদের পুত্র মোঃ ছলিম (২৫), আবুল হোছনের পুত্র নুরুল আমিন (৩০), হোছন আহমদের পুত্র ফরিদ আহমদ (২৪), ছৈয়দ হোছনের পুত্র শাহজাহান (৩০) সহ অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা টমটম গাড়িতে উঠার প্রস্ততি নিচ্ছে। এরা দৈনিক মাত্র ৩০০ টাকায় মাটি কাটার জন্য জনৈক বাবুলের কাছে এসেছিল বলে জানান। তাদের কয়েকজনের গলায় ছবিযুক্ত রোহিঙ্গার পরিচয়পত্র ঝুলছিল। তেচ্ছিব্রিজের অতি নিকটেই হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁিড়। এখানে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি ইউনিট দায়িত্ব পালন করছে। আর তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সুদুর উখিয়ার বালুখালী থেকে শত শত রোহিঙ্গা এসে পুলিশ ফাঁড়ির অতি নিকটে শ্রম দিচ্ছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ রফিক, মৎস্য ও কাঁকড়া ব্যবসায়ী জাফর আলম, কাঁকড়া ব্যবসায়ী ইউনুস জানান, স্থানীয় শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেনা। অথচ রোহিঙ্গারা সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া সত্বেও কম দামে শ্রম বাজারে নেমে পড়েছে। বিনা বাধায় তারা কাজ করে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার কারণে এমনিতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তরিতরকারীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্ত রোহিঙ্গারা কম দামে শ্রম বাজারে নেমে পড়ায় স্থানীয় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।

২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জাহিদ হোসেন সিদ্দিক বলেন ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে লোকালয়ে কাজ করা বেআইনী। এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’।