হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

আবারও মিয়ানমার থেকে বাঁশের ভেলা ভাসিয়ে পালিয়ে এসেছে ১৩০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু। ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ১৩০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের নিয়ে ২টি ভেলায় শাহপরীরদ্বীপের জেটি ঘাট ও জালিয়া পাড়ায় পৌঁছায়। এনিয়ে গত ২ দিনে ১৮২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু ভেলায় চড়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপে পৌঁছেছে।

ভেলায় করে ভেসে আসা আবদুল গফুর জানান নৌকার সংকটের কারণেই নিজেরা বাশেঁর ভেলা বানিয়ে ভেসে আসছি আমাদের পারিবারদের নিয়ে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যচার ও নির্যাতন এখনো অব্যাহত রয়েছে। যুবক ছেলেদের আটক করে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করছে ও যুবতী নারীদের নিয়ে ধর্ষণ করে কাউকে হত্যা করে নদীতে বাসিয়ে দিচ্ছে। তাই এসব অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নৌকাও না পেয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করে কোন রকম প্রাণ বাচাঁতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছি। এখনও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম বলেন ‘নাফ নদীতে সকালে কিছু রোহিঙ্গা ভেলায় করে শাহপরীরদ্বীপে এসেছে। এদের মানবিক সহায়তা দিয়ে নির্ধারিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ করায় রোহিঙ্গারা এখন ভেলা ভাসিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দিচ্ছে। নৌকার চলাচল নাফ নদীতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকা সংকটের কারণে রোহিঙ্গারা প্লাস্টিক ও তেলের জারিকেন, কাঠ ও রশি দিয়ে ভেলা বানিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাড়ি দিচ্ছে।

এদিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের আইসি উপ-পুলিশ পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি নাথ ৯ নভেম্বর বলেন ‘মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের এনে সমুদ্র উপকুলে নামিয়ে দিয়ে পালানোর সময় ৮ নভেম্বর ২টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। ট্রলার দু’টিই পুরানো জরাজীর্ণ। ভাগ্যক্রমে মাঝসাগরে ডুবে যায়নি। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ##