হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ।
টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা কাম্পের ত্রাস ও বহু অপকর্মের হোতা ইয়াছিন দম্পতির হামলায় একব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের উৎপাতে মাঝের ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে ক্যাম্পে অভিযোগ করা হলেও কোন ধরনের সুবিচার পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,গত ৬ নভেম্বর সকালে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ ব্লক তথা মাঝের ক্যাম্পের এরআরসি নং-৬১৩৮৫,শেড নং-৬৩১/৩ বাসিন্দা মোঃ ইউছুপের পুত্র হামিদ হোছনের স্ত্রী ও বোনেরা পানির টেঁেপ পানি আনতে যায়। তখন ব্লক লিডার ইয়াছিনের ত্রাসবাহিনী এসে পানি নিতে বাঁধা প্রদান করে। তখন হামিদ হোছন এসে কেন পানি নিতে পারবেনা জানতে চাইলে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। তখন হামিদ হোছন ব্লক লিডার/চেয়ারম্যান ইয়াছিনকে বিচার দিয়ে প্রতিকার চাওয়া অবস্থায় অর্তকিতভাবে বিচারক ইয়াছিন, তার বোন হাজেরা ইয়াছিন, স্ত্রী আসমিদা প্রকাশ খৈতরী, ভাতিজা ছালামত উল্লাহ মিলে উপস্থিত বিচার প্রার্থী হামিদ হোছন ও স্ত্রী আরফা বেগম,মা আমিনা খাতুন, বড়বোন রোজিনা ও ছোট বোন রশিদাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্যাম্প হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে ৪জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও হামিদ হোছনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। ভূক্তভোগী সাধারণ রোহিঙ্গারা আরো জানায়, এই ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাম্পে অবস্থান করে নেতৃত্ব হাতে নিয়ে হুন্ডি ও ইয়াবা বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ,ইয়াবার চালান ছিনতাই নিয়ে সালিশ এবং রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তার অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে আবেদন করা হলেও তার ত্রাসী মনোভাব ও টাকার দাপটে সুবিচার পায়না বলে জানায়। গত ৪/৫ মাস আগে ইয়াছিনের হাতে চরম নির্যাতনের শিকার আরো একটি পরিবার এর সত্যতা স্বীকার করলেও নিরাপত্তার অভাবে নাম প্রকাশ করতে পারছেনা। তবে সাধারণ রোহিঙ্গারা এবার,হামিদ হোছনের বড়বোন রোজিনা কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের সুবিচার পাবে কিনা অপেক্ষায় রয়েছে।
অভিযুক্ত ইয়াছিন বলেন, ছালামত উল্লাহ ও রোজিনা গংয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। আমার নিকট বিচার দিতে এলে আবারো ঝগড়া হয়। তা কঠোর হাতে আমি দমন করি। কিন্তু ছালামত আমার আত্মীয় হওয়ায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে। আসলে আমি এই কাজে জড়িত ছিলাম না।
নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশের আইসি কবির হোসেন বলেন, লোক হিসেবে ইয়াছিন ভাল না। গতকাল তার গংয়ের ছালামত হামিদ ও তার স্ত্রীকে আহত করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট এসেছে।