সংবাদদাতা:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারের বাঁশ ঘাটায় ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করে জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগি জায়গা মালিক আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়ার হেফাজতুর রহমান, মোবারক বখত, আমিন শরীফ, দেলোয়ার হোসন ও মোহাম্মদুল হাকিম নিলাম খরিদ মূলে ঈদগাঁও মৌজার বাজারের বাঁশ ঘাটার বেশ কিছু জায়গার মালিক হয়।
অভিযোগ ওঠেছে, আমিন শরীফ তার অংশ কয়েক দফায় সম্পূর্ণ বিক্রি করে নিঃস্বত্ত্ববান হয়ে যায়। তার ওয়ারিশরা তা গোপন করে একটি ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করে। যার বিএস নাম্বার ২৯২৪।
উক্ত খতিয়ানের দোহাই দিয়ে অপরাপর নিলাম খরিদ দারদের অংশ দখলের চেষ্টা করছে আমিন শরীফের ওয়ারিশরা।
এতে ভূক্তভোগি হেফাজতুর রহমানের ওয়ারিশ স্ত্রী ফরমুজা বেগম গং উক্ত খতিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আদালত শুনানি শেষে উক্ত খতিয়ানের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ।যার মামলা নং ২০৬/২০১৭ ইং।জায়গা মালিক পক্ষের অভিযোগ উক্ত ভূয়া খতিয়ান সৃজনকারি আমিন শরীফের ওয়ারিশ একই এলাকার মোহাম্মদ ফেরদৌসের পুত্র শাহ নেওয়াজ মিন্টু, তার ভাই করাতকল ব্যাবসায়ি হুমায়নের নেতৃত্বে তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রতিনিয়ত উক্ত জায়গা দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে হেফাজতুর রহমানের মেয়ে জামাই মহিউদ্দিন এবং অপর নিলাম খরিদদার দেলোয়ার হোসনের ওয়ারিশ প্রবাসি আজিজুর রহমান।
তাদের অভিযোগ, ভূমি খেকো চক্রটি অহেতুক সময় নিয়ে মামলার কালক্ষেপন করতেছে। এছাড়াও উক্ত খতিয়ানের বিরুদ্ধে অপর অংশিদাররাও একাধিক মামলা করেন বলে জানান।
বাজারের সাধারণ ব্যাবসায়ী ও ভূক্তভোগিদের দাবী, মিন্টু ও হুমায়ুন সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা ও প্রসাশনের উচু পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কৌশলে বাজারের বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে। পরে ভূঁয়া কাগজপত্র সৃজন করে মালিক সেজেছে।
সরজমিনে তদন্ত করলে এর সত্যটা বেরিয়ে আসবে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে সাধারণ ব্যাবসায়ীরা।
আভিযোগ উঠা মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে জায়গাটি তাদের বলে দাবি করে বলেন, সৃজিত খতিয়ানটি ভূঁয়া হলে এর জন্য ভূমি অফিস দায়ী। স্থগিতাদেশের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এর বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
ঈদগাঁওতে ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করে জায়গা দখলের চেষ্টা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
