সিবিএন:

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বহলতলীঘোনা এলাকা থেকে কলিম ‍উল্লাহ (২৮) নামক মৎস্যঘের কর্মচারী অপহরণ করেছে স্বশস্ত্র দস্যুরা।

এ সময় লুট করেছে অন্তত দুই লাখ টাকার মাছ।

তবে, নদী সাতরিয়ে ৫ কর্মচারী কোন রকম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত দশটার দিকে লালগোলা ব্রীজ নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অপহৃত কর্মচারী কোন অবস্থায় আছে তার কোন হদিস মেলেনি।

দস্যুদের কবল থেকে ফিরে আসা মিছবাহ নামের কর্মচারী মুঠোফোনে কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন)-কে জানায়, ঘের থেকে অহরিত বোটভর্তি মাছ নিয়ে খুটাখালী বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে স্বশস্ত্র ডাকাতদল তাদের জিম্মি করে ফেলে। এরপর এলোপাতাড়ী মারধর করতে থাকে।

এ সময় তিনিসহ ৫ জন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাতরিয়ে কোন রকম পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

তবে, তাদের সাথে থাকা অপর কর্মচারী কলিম উল্লাহসহ অন্তত দুই লাখ টাকার মাছভর্তি ট্রলার লুট করেছে দস্যুরা।

এ প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশ দস্যুতাসহ সব ধরণের অপরাধরোধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাছ লুট ও ঘের কর্মচারী অপহরণের খবর তিনি শুনেননি। এরপরও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে, বহলতলী নামের কোন এলাকা চকরিয়া থানায় আছে কিনা- তা জানা নাই বলেও জানান ওসি বখতিয়ার।

উল্লেখ্য, এর আগেও অনেকবার এখানে ডাকাতি, লুটের ঘটনা ঘটেছিল। দস্যুদের গুলিতে মারা যায় একজন ঘের মালিক। ধরা পড়ে কয়েকজন বার্মাইয়া ডাকাত। চিহ্নিত কয়েকজন ডাকাত ও সন্ত্রাসী এসব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অবেদনও করে ঘের মালিকরা।

তবে, দস্যুতারোধে থানা পুলিশের ভূমিকাকে রহস্যঘেরা মনে করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।