এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:

চকরিয়া পৌরসভার নিজপানখালী এলাকায় পরিবহন চালক আবদুল আজিজকে হত্যার ঘটনাটি ফের নতুনভাবে মোড় নিয়েছে। প্রবাসী আমজাদ হোসেনের বাড়িতে ঢুকে মোবাইল ফোন চুরি করতে গেলে পিটুনিতে আজিজ মারা গেছে বলে থানা পুলিশ নিশ্চিত করলেও নিহতের স্ত্রীসহ পরিবারের দাবি, চুরির ঘটনাটি সাজানো। মুলত তাকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোবাইল ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

গত রবিবার (৮ অক্টোবর) ভোর রাতে চকরিয়া পৌরসভার নিজপানখালী এলাকায় ঘটেছে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ওইদিনই চকরিয়া থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫-৬জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

অবশ্য ঘটনারদিন তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন, বাড়ির মালিক প্রবাসী আমজাদ হোসেনের শ্যালক স্থানীয় ফার্নিসার দোকানী মোহাম্মদ হোছাইন প্রকাশ পুতু (২৩), তাঁর দোকানের কর্মচারী আব্বাস আহমদ (২৬) ও নিহতের বন্ধু মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রকাশ মুন (২৬)। মিজানুর রহমান যিনি ঘটনার রাতে আজিজকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ঢেকে আনেন।

নিহতের স্ত্রীসহ পরিবার সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আজিজকে হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কতিপয় প্রভাবশালীমহল ইতোমধ্যে নানাভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় তাঁরা হত্যার সঠিক বিচার পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী দাবী করেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা গত ৮ অক্টোবর ভোররাতে আমার স্বামী আবদুল আজিজকে মোবাইল ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নিজপানখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হত্যা করেছে।

সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী বিস্তারিত বিবরণ জানানোর সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন নিহত আবদুল আজিজের অবুজ তিন শিশু সন্তান এমরান হোসেন খোকা (১২), লিজা মনি (১০), শহীদুল ইসলাম মিনার (৭)। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের বড়ভাই মামলার বাদী মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিন, চাচা আলহাজ ফিরোজ আহমদ, নিকট আত্মীয় মাওলানা রফিক আহমদ, আনোয়ার হোসেন, নিহতের বড়বোন সেতারা বেগম।